লাইফস্টাইল ডেস্ক: মানবদেহে কোলেস্টেরল লেভেল বৃদ্ধি পেলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে হার্টের সমস্যা হতে পারে, হৃদরোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া নানা জটিলতা অগোচরে শরীরে বাসা বাধতে পারে। তাই খাবারে কিছু পরিবর্তন দরকার। যেমন প্রতিদিন একটা পেয়ারা খেলে কোলেস্টেরল কমে। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।
কোলেস্টেরল হচ্ছে মোম জাতীয় পদার্থ। এই পদার্থ কিছু খাবার থেকে শরীরে তৈরি হয়। এছাড়া লিভারও এই পদার্থ তৈরি করে। মানুষের কিছু ভুলেই বাড়ে কোলেস্টেরল। রক্তনালীতে জমতে থাকে এই পদার্থ। নিয়মিত পেয়ারা খেলে এই পদার্থ কমে যায়।
এখন চলছে শীতের মৌসুম। বাজারে প্রচুর পরিমাণে পেয়ারা পাওয়া যায়, দামও তুলনামূলক কম। তাই প্রতিটি মানুষই এই ফলটি কিনে খেতে পারেন। পেয়ারা খেলে শরীরে কোলেস্টেরল অনেকটাই কমে যায়।
পেয়ারা যেভাবে কোলেস্টেরল কমায়:
এক গবেষণায় এই বিষয়টি পরিস্কার করা হয়েছে। মূলত; ফাইবার রিচ ডায়েট যেমন ওটস, ফল, সবজি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ঠিক তেমনই ফলও পারে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে।
বিশেষ করে পেয়ারাতে অনেকটা পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার কিন্তু লিপিড নিয়ন্ত্রণ করে ফেলতে পারে। তাই নিয়মিত পেয়ারা খেতে হবে। একদিন খেলাম, আর ১০ দিন বন্ধ- এই কৌশলে লাভ মিলবে না। একমাত্র প্রতিদিন খেলেই ফলাফল মিলবে।
গবেষণায় দেখা যায়, কোলেস্টেরল কমানোর ক্ষেত্রে পেয়ারা দারুণ কার্যকরী। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা ১২ সপ্তাহ ধরে পেয়ারা খেয়েছেন। দেখা গেছে, টোটাল কোলেস্টেরল প্রায় ৯.৯ শতাংশ, ট্রাইগ্লিসারাইডস ৭.৭ শতাংশ এবং প্রেশার ৯ থেকে ৮ এমএম এইচজি কমছে।
এছাড়া ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়ছে প্রায় ৮ শতাংশ। ফলে হার্ট সুরক্ষিত থাকছে। বহু সমস্যার সমাধান হয়েছে দ্রুত গতিতে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখুন।
পেয়ারার গুণ:
পেয়ারার বহু পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, নিয়াসিন, থিয়ামিন, রাইবোফ্ল্যাভিন, ক্যারোটিন, লাইকোপেন এবং মিনারেল যেমন ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন থাকে। এর মাধ্যমে ভালো থাকে শরীর। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখার চেষ্টা করুন।
এবি/এইচএন