আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর কিছুদিন পর থেকেই ইহুদি রাষ্ট্রটিতে হামলা চালিয়ে আসছে লেবাননের ইরান-সমর্থিত সামরিক সংগঠন হিজবুল্লাহ। পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলও। সম্প্রতি হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্ম যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে তেল আবিব। এমন পরিস্থিতিতে লেবাননে হামলা চালানো হলে তার পরিণত কতটা ভয়াবহ হতে পারে, সে বিষয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে ইরান।
এক বিবৃতিতে শুক্রবার ইরানের পক্ষ থেকে দেওয়া ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ নিজেকে ও লেবাননকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে। ইসরায়েল যদি হিজবুল্লাহর সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়াতে চায়, তাহলে তা হবে দেশটির চূড়ান্ত পরাজয়।
সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের মিশন বলেছে, নিজেকে রক্ষা করতে ইসরায়েলের যেকোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে নতুন একটি যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলতে পারে। এর ফলে লেবাননের সঙ্গে সঙ্গে ১৯৪৮ সালে অধিকৃত অঞ্চলগুলোও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা শুরু হওয়ার মাসখানেক পরেই লেবানন সীমান্তে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনী। চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার (১৮ জুন) ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম হাইফা শহরে হামলার হুমকি দেয় হিজবুল্লাহ। এমনকি, শহরটির ওপর দিয়ে তারা একটি পর্যবেক্ষণ ড্রোনও উড়ায়।
পরে বুধবার (১৯ জুন) লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। এমনকি, হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলার আনুষ্ঠানিক অনুমোদনও দেয় তেল আবিব। এর জবাবে ইসরায়েল ও তাদের ‘সহযোগী’ সাইপ্রাসকে হুমকি দেন হিজবুল্লাহর হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি বলেন, লেবাননে হামলা চালালে হিজবুল্লাহ সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করবে। মানা হবে না কোনো নিয়মনীতি।
নাসরুল্লাহর ওই হুমকির পর ইসরায়েলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এতে তিনি ইসরায়েলি নেতাদের লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা এড়াতে বলেন। সূত্র: আল জাজিরা
এবি/এইচএন