নীলফামারী সড়ক পরিবহণ মালিক গ্রুপের অবৈধ কমিটি প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন গ্রুপের একাংশ।
বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে জলঢাকা বাস টার্মিনালে সড়ক পরিবহণ মালিক গ্রুপের ব্যানারে সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয়া হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রুপের সহ সাধারণ সম্পাদক ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেড।
এ সময় সহ-সভাপতি মোফাখাখারুল ইসলাম সঙ্গী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মিঠুন, সড়ক সম্পাদক রাশেদুজ্জামান মিল্টন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এতে বলা হয়, আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর গেল বছরের ২৬ আগষ্ট নিয়ম অনুসারে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এতে এ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সোয়েম নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্বে আসার পর থেকে সভাপতি আরেফ রব্বানী স্বৈরাচারী আচরণ শুরু করেন এবং সাংগঠনিক নিয়ম কানুন উপেক্ষা করে নিজের ইচ্ছেমত কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। অনৈতিক প্রস্তাব, অবাঞ্চিত চাঁদা উত্তোলন, কাউন্টার দখল, সাধারণ মালিকদের পরিবহণ বন্ধের হুমকী, অন্যায়ভাবে অর্থদাবী করতে থাকেন। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে সাধারণ সম্পাদক কাজী তারিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোফাখাখারুল ইসলাম সঙ্গী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মিঠুন, সড়ক সম্পাদক রাশেদুজ্জামান মিল্টন ও সহ-সাধারণ সম্পাদককে অবৈধভাবে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রেরণসহ নিয়ম বর্হিভুত ভাবে সংগঠন থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। যা কোনভাবে আরেফ রব্বানী করতে পারেন না।
ফাহমিদ ফায়সাল কমেড অভিযোগ করে বলেন, সাবেক মন্ত্রী আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খানের দোসরদের নিয়ে পরিবহণ সেক্টরে অস্থিরতা এবং অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করছেন আরেফ রব্বানী। তিনি নিজেও শাহজাহান খানের সাথে মিলেমিশে কাজ করেছেন। আওয়ামীগের কমিটিতে রয়েছেন এমন লোকদের এই গ্রুপে নেতৃত্ব দিয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি পুর্নবাসন করার চেষ্টা করছেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মিঠুন অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ মার্চ ইফতার মাহফিলের দাওয়াত দিয়ে বিশেষ সাধারণ সভা করেছেন। ওই সভায় মালিকদের উপস্থিতি বলতেই ছিলো না বরং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সভা করেন। এই সভা থেকে নতুন একটি কমিটি করা হয়। যেখানে আরেফ রব্বানী সভাপতি ও আবুল হাসনাত রাসেলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এই কমিটি বৈধ নয়। এভাবে কমিটি গঠন হতে পারে না। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি যদি অবৈধ এই কমিটি বাতিল করা বা প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে কঠোর কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে।
জানতে চাইলে সড়ক পরিবহণ মালিক গ্রুপের সভাপতি আরেফ রব্বানী জানান, সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। যা নিয়ম অনুযায়ী করা হয়েছে। তারা যে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন তা সঠিক নয়।
আমারবাঙলা/ইউকে