লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী জসিম উদ্দিন বেপারী হত্যা মামলার ১৪ আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। যারা বিএনপি ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর পল্টনে একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর-সার্কেল) জামিলুল হক।
বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান জামিলুল হক।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রায়পুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইমাম হোসেন গাজী, উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য আবুল খায়ের গাজী, ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য মো. সিদ্দিক আলী দেওয়ান, ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি সোলায়মান দেওয়ান, উত্তর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. হানিফ দেওয়ান, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন বকসি, সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. শাহাদাত গাজী, বিএনপিকর্মী খালিদ গাজী, জাকির হোসেন, আব্দুল মন্নান গাজী, মো. নেসার উদ্দিন, মো. মিজান সরদার, মো. খিজির এবং তসলিম উদ্দিন। তারা উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
মামলা থেকে জানা গেছে, ৭ এপ্রিল বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় জসিমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে ১৪ এপ্রিল ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ১৬ এপ্রিল জসিমের বাবা বিএনপির ১২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজী মোস্তফা কামাল ও রায়পুর উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব জি এম শামীমসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৮০ জনকে আসামি করা হয়।
নিহত জসিম উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড চরবংশী গ্রামের হজল করিমের ছেলে এবং পেশায় ঢালাই শ্রমিক ছিলেন।
তিনি উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী এবং রায়পুর উপজেলা বিএনপির সদস্য ফারুক কবিরাজের অনুসারী ছিলেন বলে ফারুক নিজেই জানিয়েছেন।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৭ এপ্রিলের সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা কৃষক দল নেতা জি এম শামীমের অনুসারী বিএনপিকর্মী ও স্পেন প্রবাসী সাইজ উদ্দিন দেওয়ান নিহত হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন মারা যান। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হন। এ ছাড়া ১৫টি ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়।
আমারবাঙলা/ইউকে