মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল যৌথ বিবৃতিতে বলেন, আমরা জানি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র স্থিতিশীল হয় তার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সক্ষম তথা শক্তিশালী বা স্বাধীন তার উপর।
গণঅভ্যূত্থান পরবর্তীতে দেশে স্থিশীলতার প্রশ্নে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমুন্নত রাখার পরিবর্তে আমরাই যদি বিতর্কিত করে তুলি তাহলে বার বার যে গণঅভ্যূত্থানের আকাঙ্খা পুরণ হয়নি এবারও কি আমরা সে পথেই হাটছি। ছাত্র-জনতার ২৪শের গণঅভ্যূত্থানের আকাঙ্খা কি এবারও ভুলন্ঠিত হবে বলে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা!
২৬শে মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (প্রচার)- শরীফ মোঃ বেদুইন হায়দার লিও স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তাঁরা আরো বলেন ’৫২ এর ভাষা আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিণতিতেই ’৭১ এর স্বাধীনতা কিংবা বোধগত প্রত্যয়ে খোদিত ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’- অক্ষয় সে দাবির স্মারকে প্রতিষ্ঠিত ৯০ পরবর্তী আজকের ২৪শের বাংলাদেশ। ১৯৭১ এ স্বাধীনতা এসেছে, ৯০ এর পর গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় আমরা এগিয়েছি কিন্তু রাজনৈতিক ‘স্থিতিশীলতা’র ক্ষেত্রে জাতীয় সংকটে দেশাত্ববোধের তাড়না সবাই অনুভব করেছি তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেই দেশাত্ববোধের সদিচ্ছা, সততাটুকু শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত হয়েছে- স্বচ্ছ ভাবমূর্তি হয়েছে কালিমালিপ্ত। ছাত্র-জনতার ২৪শের গণঅভ্যূত্থান পরবর্তীতেও একই চিত্র ধিরে ধিরে ফুটে উঠছে।
অথচ সালাম বরকত থেকে---নুর হোসেন তথা আজকের আবু সাঈদ-মুগ্ধরা মরে না তাঁরা মুক্তির প্রেরণা হয়ে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকে। রক্তের উপর দাঁড়িয়ে এ দেশ স্বাধীন হয়, স্বৈর-শাসক মুক্ত হয় কিন্তু যুগে যুগে সমস্ত বৈষম্য আর দূর্নীতির শিকারও জনগণই হয়। জনসাধারণের রক্তদানে কেনা বিজয় জনগণেরই হতে হবে। স্বার্থান্বেষী মহল যেন কোন ভাবেই একে নিয়ে আর খেলতে না পারে। যে ক্ষমতা মানুষকে দানব করে তোলে সে ক্ষমতা আমরা আর চাই না।
তাই “ডান-বাম নয় হাঁটতে হবে বাংলাদেশ বরাবর” এই স্লোগানে মুক্তিজোট এর দাবি সংবিধানের ৬০ ধারা বাস্তবায়ন অর্থাৎ স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে ব্যাপক মানুষের অংশগ্রহণে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। ব্যাপক তারূণ্যের অংশগ্রহণে দেশ পূর্ণগঠিত হবে।
সেক্ষেত্রে, রাজনীতি সচেতন মানুষের কাছে মুক্তিজোটের আহ্বান- দেশ যদি সাধু সন্ততে ভরেও যায় আর রাজনীতিটা পঁচে ওঠে তবে নিশ্চিত দেশ রসাতলে যাবে, বিপরীতক্রমে দেশ যদি গুন্ডা-বদমাইশে ছেঁয়েও যায় আর রাজনীতিটা যথার্থ থাকে তবে দেশ অচিরেই বেঁচে উঠবে। তাই মুক্তিজোট প্রত্যাশা করে আমরা যারা রাজনীতি করি তারা যথাযথ রাজনীতিটাই করব।
শেষে ৭১-এ, যে স্বাধীনতার স্বপ্ন বুকে নিয়ে আত্মাহুতি দিয়েছিল লাখো মানুষ, মহান স্বাধীনতা দিবসে তাঁদের প্রতি দায়বদ্ধতা ও বিনম্র সালাম জানিয়ে দেশবাসীকে মুক্তিজোটের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানান তাঁরা।
আমারবাঙলা/ইউকে