সৌদি আরবে ব্যবসায় বিনিয়োগ করা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে সোহেল আহসান নামে নোয়াখালীর এক প্রবাসী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। সৌদির মক্কা শহরে আবাসিক ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় বিনোয়গ করা প্রায় ১১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ওই ব্যবসায়ী। বুধবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কয়েকজন সৌদি প্রবাসী ও নোয়াখালীর ভুক্তভোগী পরিবার।
এ সময় বিনিয়োগকারী হারুন অর রশিদ ও আজিজুর রহমানের স্ত্রী ফারজাহানা ইয়াসমিন সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ জানান, ২০২২ সালের শেষের দিকে মক্কা শহরে সোহেল আহসানের সঙ্গে আবাসিক হোটেল ‘স্টার সিটি’, ‘সরাব মোহাম্মদ আবদুল্যাহ’ ও ইয়াম নামে দুটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এর ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন প্রবাসী হারুন অর রশিদ ও আজিজুর রহমান। এ ছাড়াও তাদের সঙ্গে আরো প্রায় ১০জন বিনিয়োগকারী রয়েছে। প্রথম ৬মাস ব্যবসার লভ্যাংশ প্রদান করলেও হঠাৎ করে সোহেল আহসান তার দুই পার্টনারকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেয়নি। এক পর্যায়ে সৌদিস্থ বাংলাদেশী দুতাবাস, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন তারা। কিন্তু তাতে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাননি। উল্টো সে ক্ষিপ্ত হয়ে বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে, সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়, মারধর করে বলে অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী হারুন অভিযোগ করে বলেন, সোহেল আহসান আ.লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় অনেক বেশি প্রভাব খাটিয়েছে। সোহেল বাংলাদেশী নারীদের বিদেশে নিয়ে বিক্রি করে দেয়। হুন্ডি ব্যাবসার সঙ্গেও জড়িত। বিদেশের এসব টাকা দেশে বিভিন্ন ব্যবসায় খাটাচ্ছে। সোহেল আহসানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে তারা। এ বিষয়ে সোহেল আহসানের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।