ছবি-সংগৃহীত
জাতীয়

সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯৬

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ৪৬৭ দুর্ঘটনায় ৪৯৬ জন নিহত এবং ৬৮১ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পাঠানো দুর্ঘটনা সংক্রান্ত এক প্রতিবদনে এ তথ্য জানানো হয়।

দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

প্রতিবদনে বলা হয়েছে, এসব দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ১৫৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭২ জন নিহত ও ১০৭ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮.০৫ শতাংশ, নিহতের ৪২.৭৮ শতাংশ ও আহতের ২৬.৬১ শতাংশ।

এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। সেখানে ১১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৮ জন নিহত ও ১১২ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে।

সেখানে ২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত ও ১০৬ জন আহত হয়েছেন। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৭.০৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৭.৬১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৯.১০ শতাংশ ফিডার রোডে হয়েছে।

এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫.৪৭ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০.৪৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.২৪ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

সেপ্টেম্বর মাসের সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে— ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, ট্রাফিক বিভাগের অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি; মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল; সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা।

রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার; চলতি বর্ষায় সড়ক মহাসড়কের ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি; যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে— মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানী ও নিবন্ধন বন্ধ করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান; রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘন্টা সুনিশ্চিত করা।

রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা; চলতি বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তার মাঝে সৃষ্ট ছোট বড় গর্ত দ্রুত অপসারন করা; গণপরিবহন বিকশিত করা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা।

এবি/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

শিল্পকলায় ‘রাজার চিঠি’ নাটকের ৫০তম মঞ্চায়ন 

সাজু আহমেদ: জাগরণী থিয়েটারের জনপ্রিয় প্রযোজনা নাটক ‘রা...

বাসচাপায় নানা-নাতনী নিহত

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে রাস্তা পারাপারের সময় যাত্...

বেইজিংয়ের পথে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের রাজধানী বে...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (৮ জুলাই) বেশ কিছু...

ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল ৫ জনের

জেলা প্রতিনিধি : নরসিংদীর রায়পুরায় ট্রেনে কাটা পড়ে ৫ জনের প্...

শিল্পকলায় ‘রাজার চিঠি’ নাটকের ৫০তম মঞ্চায়ন 

সাজু আহমেদ: জাগরণী থিয়েটারের জনপ্রিয় প্রযোজনা নাটক ‘রা...

ঢাকায় অভিযানে গ্রেফতার ২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৫ জনক...

দেশে ফিরেছেন ৫৬ হাজার ৩৩১ হাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সৌদি থেকে হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজ...

বাসচাপায় নানা-নাতনী নিহত

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে রাস্তা পারাপারের সময় যাত্...

আট জেলায় ঝড়বৃষ্টির আভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের আট জেলায় ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়ে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা