ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে কৃষকের ক্ষেতের সবজি গাছ কাটা এবং বোরো ধানের চারা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে বুধবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিবি ৬০ব্যাটালিয়নের গঙ্গাসাগর ক্যাম্প কমান্ডার মুর্শেদুল হক।
সীমান্তঘেষা লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা মালেক মিয়া (৮৭), সাফায়েত মিয়া (৩০) ও শামসুল আলম (৪০) যুগান্তরকে বলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তের ২০২৪/১৩-এস পিলার এলাকায় বাংলাদেশ অংশে জমি লিজ এবং বর্গা নিয়ে স্থানীয় কৃষকরা যুগ যুগ ধরে চাষাবাদ করে আসছে। চলতি বছর কৃষকরা সবজি চাষাবাদসহ বোরো ধান রোপণ করেছে।
গত সোমবার বিএসএফ ভারতীয় লোকজন নিয়ে এদেশে প্রবেশ করে লাউ, সিম, কপি, টমেটো গাছ কেটে দেয় এবং ধানের চারা তুলে ফেলে। এ সময় জমিগুলো ভারতীয় অংশের বলে দাবি করে তারা।
খবর পেয়ে ৬০ বিজিবি কর্নেল বাজার ক্যাম্পের টহল জওয়ানরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেয়। এতে পিছু হটতে বাধ্য হয় বিএসএফ। পরে বিষয়টি নিয়ে পতাকা বৈঠকের প্রস্তাব দেয় বিজিবি।
ওই গ্রামের প্রবীণ মালেক মিয়া বলেন, ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ওই জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন তিনি। গত সোমবার সকালে সেখানে গেলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মনতলা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা বাধা হয়ে দাঁড়ান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএসএফ তাদের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে লাঠিসোটা নিয়ে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে। তারা বাঁশ দিয়ে জমিতে সীমানা প্রাচীর দেওয়ারও চেষ্টা চালায়।
গত বুধবার সকালে মনিয়ন্দের লক্ষীপুর সীমান্ত পিলার এলাকায় বৈঠকের পর গঙ্গাসাগর বিজিবি সুবেদার মুর্শেদুল হক যুগান্তরকে জানান, আপত্তিকর অংশ ব্যতীত অন্য জায়গায় চাষাবাদ হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি জানান, আপত্তির ওই জায়গায় উভয় দেশের সার্ভে বিভাগ যৌথ মাপ জরিপের পর বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে বলে একমত পোষণ করা হয়েছে।
আমারবাঙলা/জিজি