দেশের ১৮তম প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
আইনজীবীদের কাছে পাঠানো সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এক বার্তায় বলা হয়েছে, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ইন্তেকাল করেছেন। তার নামাজে জানাজা বাদ যোহর ১টা ৪৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এ ছাড়া শোক জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোশিয়েশন) পক্ষ থেকে।
বিচারপতি ফজলুল করিম ১৯৪৩ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সুচক্রদণ্ডি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আহমেদ কবীর। তিনি আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদের বংশধর।
ফজলুল করিম ১৯৫৮ সালে পটিয়ার কাজেম আলী হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। এরপর তিনি ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি নেওয়ার পর ১৯৬৯ লন্ডনের লিংকনস ইন থেকে বার অ্যাট ল’ হন।
১৯৬৫ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে চট্টগ্রাম বারে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ১৯৭০ সালে হাইকোর্টে এবং ১৯৭৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
বিচারপতি করিম ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর তিনি হাইকোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। দুই বছর পর স্থায়ী হন তিনি। ২০০১ সালের ১৫ মে তিনি আপিল বিভাগে যোগ দেন।
পরবর্তীতে ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি হন। একই সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান।
আমারবাঙলা/এমআরইউ