চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাসের সাত দিন এবং রিপন দাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চন্দন ও রিপনের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত চন্দন দাসের ৭ দিন এবং রিপনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওসি আবদুল করিম আরও বলেন, আলিফ হত্যার ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। সেই মামলার প্রধান আসামি চন্দন। এখন পর্যন্ত এ মামলায় ১১ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। চন্দন চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোড সেবক কলোনির মেথরপট্টি এলাকার প্রয়াত ধারীর ছেলে। বৃহস্পতিবার অপর আসামি রিপন দাসকে কোতোয়ালীর বান্ডেল রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে নিয়ে যাওয়ার জন্য চিন্ময়কে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এ সময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কোপানো হয়। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এই মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাস। এছাড়া পুলিশের কাজে বাধাদান ও হামলার অভিযোগে আরও চারটি মামলা হয়েছে।
আমার বাঙলা/এনবি