আশ্রাফ উজ-জামান রুবেল: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার হিড়িক পড়েছে। প্রতিটি আসনে নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। নির্বাচন উৎসব মুখর করতে দলের ভেতর থেকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রেখেছে আওয়ামী লীগ। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বলছেন, এতে করে ভোটের মাঠে জনপ্রিয়তা যাচাই হবে।
এর ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত ৩ হেভিওয়েট নেতা এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়ে ভোটের মাঠে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তারা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েও শরিকদলকে ছেড়ে দেওয়া তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার মুজিব।
এ আসনে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরপর দু'বার নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন জোটের অন্যতম শরিকদল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। তিনি এবারও নির্বাচনে লড়বেন বলে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
এছাড়া জাতীয় পার্টির নেতা, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখ্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ লক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপরদিকে, প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে তালা- কলারোয়ার বিভিন্ন স্থানে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সাথে দফায় দফায় মত বিনিময়, আলোচনা সভা, বর্ধিত সভা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম বলেন, আমি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কোন কাজ করি না৷ দলীয় সিদ্ধান্ত মেনেই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েও শরিক দলকে ছাড় দিয়েছি। এবারও দলীয় নির্দেশনা মেনেই মনোনয়ন জমা দিয়েছি। সাধারণ জনগণ আমাকে ভালবাসে কিনা সেটা ভোটের মাঠেই দেখা যাবে ।
সব মিলিয়ে, আসন সমঝোতা ও মনোনয়ন প্রত্যহারের শেষ দিন পর্যন্ত এ আসনে ভোটের হিসাব-নিকাশ একটি জটিল সমীকরণে দাড়িয়ে আছে।
এবি/এইচএন