রাজশাহীর খড়খড়ি এলাকায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ট্রাকের সঙ্গে দুইটি বাসের সংঘর্ষে আহত আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিনজনে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন। আহতদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনায় একটি বাস সড়ক থেকে ছিটকে রাস্তার পাশের খাদে পানির মধ্যে উল্টে যায়।
নিহতরা হলেন- সাদিকুল ইসলামের ছেলে জুয়েল আহমেদ (৪০), বেলায়েত হোসেনের ছেলে নাসিম উদ্দিন (৪৫), জোবদুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান (৩২)। তারা সবাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের ঘোড়াপাখিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, রাজশাহী বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে খড়খড়ি বাইপাস সড়কে একটি বালুবাহী ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে পিরোজপুরগামী একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি ছিটকে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় ট্রাকটিকে পেছনে থাকা আরো একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে দ্বিতীয় বাসটিরও এক পাশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। পরে দ্রুত যাত্রীরা নেমে খাদে পড়ে যাওয়া বাসের যাত্রীদের উদ্ধারে চেষ্টা চালান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন গিয়ে খাদে পড়ে যাওয়া বাস থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
মহানগর জামায়াতের সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার বলেন, দুইটি বাসে প্রায় ৯০ জন যাত্রী ছিলেন। যাদের সবাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রাণীহাটি ইউনিয়ন শাখা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী ও সমর্থক। প্রয়াত জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে তারা পিরোজপুর যাচ্ছিলেন।
তিনি জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় ৪০ জন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে নাসিম, মিজান ও জুয়েল নামের তিনজন জামায়াত কর্মী মারা গেছেন। নিহতরা সবাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, রাতে ট্রাক-বাসের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ