আশ্রাফ উজ-জামান রুবেল: সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মাঠে মাঠে এ বছর ব্যাপক সরিষার আবাদ হয়েছে। হলুদ ফুলে ভরে আছে জমি। ফুলের মৌ মৌ গন্ধ সুবাস ছড়াচ্ছে পুরো এলাকায়। আকৃষ্ট করছে মৌমাছিসহ সকল প্রকৃতি প্রেমিককে।
এবছর উপজেলার সর্বত্রই সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। কৃষকের সাথে সহমত পোষন করেছেন উপজেলা কৃষি অফিসও। তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নেই সরিষা ফুলে ভরে গেছে ফসলের মাঠ। চারদিকে তাকালে যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমারোহ।
সরজমিন উপজেলার ধানদিয়া, নগরঘাটা ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায়, সরিষার ফুলে ফুলে ও মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে এই এলাকার ফসলি সরিষা ক্ষেত। ফসলি মাঠের শোভা বাড়িয়ে তুলেছে এসব সরিষার ক্ষেত। মাঠের চারিদিক যেন হলুদ হলুদে পরিপূর্ণ। এক দেখাতেই মন কাড়বে দর্শনার্থীদের। সরিষা ফুলের শোভা আরো বাড়িয়ে তুলেছে অসংখ্য মৌমাছির দল গুণগুনিয়ে মধু আহরণে ব্যাস্ত। একই রকম মনোরম হলুদের সমারোহ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নেরর প্রান্তিক গ্রামগুলিতে।
নগরঘাটা ইউনিয়নের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, সরিষার গাছ ভালো হয়েছে। ভালো ফুল ফুটেছে বলে ভালো ফলনও আশা করা যায়। সরিষার ফুলে ফুলে হলুদ বর্ণের বর্ণিল জমিগুলোতে আশে পাশে দূর দূরান্ত থেকে স্কুল কলেজের সৌখিন প্রকৃতি প্রেমিকরা বেড়াতে আসছেন। তেঁতুলিয়া ইউনিয়ের আড়ংপাড়া গ্রামের কৃষক সেলিম মোল্ল্যা জানান, সরিষার ফুলের সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য অনেকে ক্যামেরা ও ভিডিও মাধ্যমে নিজের ছবির সাথে সরিষার ফুলের ছবি ধরে রাখছেন। আমন ধান কাটার পর সরিষা রোপন করেছি। আশা করি ভাল ফলন হলে অধিক লাভবান হতে পারবো।
এ বছর অনেকেই আগাম সরিষা অবাদ করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন আশা করছেন এলাকার কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, এবছর ৮৯৬ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। গতবছরের চেয়ে এ বছর সরিষা আবাদে আগ্রহী বেশি সংখ্যক কৃষকরা। ফলে ইতিমধ্যে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছি। সরিষা কৃষকের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে ও কোনো রকম রোগ বালাই না ধরলে সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি আশা করছেন। সরকারের সরিষা প্রনোদনা থাকায় সরিষা আবাদে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে।
এবি/এইচএন