আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিউইয়র্কে একটি প্রতারণা মামলার রায়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে ট্রাম্প এ পরিমাণ নগদ অর্থ বা সমমানের বন্ড দিতে অপারগ বলে জানিয়েছেন। এমন অবস্থায় সম্পদ বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন এ রিপাবলিকান নেতা।
মঙ্গলবার (১৯) মার্চ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। তবে আপিল আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই ট্রাম্পকে জরিমানার অর্থ নগদে অথবা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ নেওয়া বন্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এ পরিমাণ অর্থের সমতুল্য বন্ড দিতে আগ্রহী কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাচ্ছেন না সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেছেন, এত বড় আকারের বন্ড জোগাড় করা ‘প্রায় অসম্ভব’।
ট্রাম্পের আইনজীবীরা আদালতের কাছে দেওয়া আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছেন, তারা ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা চালিয়েছে। কিন্তু ওই পরিমাণ অর্থ পরিশোধে কেউ রাজি হয়নি’।
আইনজীবীরা আরও জানান, তারা মোট ৩০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেও সফল হননি।
ট্রাম্প সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাকে ফাঁসানোর জন্য মামলাটি করা হয়েছে। এদিকে ট্রাম্প জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আগামী সোমবার থেকেই নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ তার সম্পদ জব্দের কাজ শুরু করতে পারে। ‘ফাস্ট ডিপার্টমেন্ট অব দ্য অ্যাপিলেট ডিভিশন’ নামক আদালত যদি সম্পদ জব্দের প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত করতে রাজি হয় তাহলেই এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটতে পারে।
জালিয়াতি করে ঋণদাতার কাছে নিজের সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের একটি আদালত ট্রাম্পকে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করেন। সঙ্গে রয়েছে সুদ। এতে সব মিলে তাকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হবে।
এবি/এইচএন