নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, শ্রম আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র টালবাহানা করছে। আমরা তাদের সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করি, কিন্তু পারি না।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের শ্রম আইনের আরও উন্নতি চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র— এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সম্মেলনেও এই শ্রম আইন নিয়ে কথা হয়েছে। এর আগেও আমরা আইনটি পাস করার পর্যায়ে ছিলাম, কিন্তু আইএলও থেকে অনুরোধ করা হলো, এটিকে আরও সমৃদ্ধ ও যুগোপযোগী করতে। সেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে গত সংসদে আমরা আইনটি পাস করিনি।’
‘এবার তাদের সাথে কথা হয়েছে, পরবর্তী ২ মে যে বাজেট অধিবেশন শুরু হবে, সেখানে এ আইনটি সবার সঙ্গে কথাবার্তা ও পরামর্শ নিয়ে পাস করবো’, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় সবসময় শ্রমিকের পক্ষে। আবার মালিকদেরও গলা টিপে মেরে ফেলা যাবে না, হাঁস গলা টিপে মারলে সোনার ডিম পাওয়া যাবে না। আমরা চাই, সবাইকে সঙ্গে রেখে সমন্বয় করে একটি যুগোপযোগী শ্রম আইন পাস করতে।
শ্রম আইন নিয়ে মার্কিন পরামর্শের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একটা টালবাহানা করছে। তারা একটা পূরণ করলে আরেকটা দাবি করবে। যতক্ষণ না তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারব, ততক্ষণ তারা আমাদের এগুলো করতে থাকবে। পরাশক্তির অনেকগুলো হাত। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতালোভী না।’
তিনি বলেন, ‘আমেরিকা বড় শক্তি, তাদের অবশ্যই পরোয়া করতে হয়। তাই বলে আমাদের স্বকীয়তা বিলিয়ে দিয়ে তাদের সঙ্গে আপস করতে রাজি না। যুক্তরাষ্ট্র যে সুপারিশ দিয়েছে, সেটা আমরা নেব, তবে যাচাই-বাছাই করে নেব। যেগুলো নিতে পারব না, বিনয়ের সঙ্গে বলবো— এগুলো নেওয়া যাচ্ছে না। আর যা নেব, সেটাও তাদের জানাব।’
যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের বন্ধু আখ্যায়িত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের সহায়তা করে। তারা বিভিন্ন খাতে আমাদের সুযোগ-সুবিধা দেয়। আমরা চেষ্টা করবো, তাদের শর্ত রাখার জন্য। আমরা হয়ত অনেক সময় তাদের সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করি, তারপরও পারি না। মূলত আমাদের ভাগ্য খারাপ।’
এবি/এইচএন