নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে রাজনীতির জাদুকর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘পয়েট অব পলিটিকস’ আখ্যায়িত করা হয়েছিল। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যাকে আজ আমরা বলি, তিনি হচ্ছেন ‘ম্যাজিশিয়ান অব পলিটিকস’ (রাজনীতির জাদুকর)।
ওবায়দুল কাদের রোববার বিকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার স্বাগত বক্তব্যে এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী তথা প্লাটিনাম জুবিলির এই আয়োজনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- ‘গৌরবময় পথ চলার ৭৫ বছরে আওয়ামী লীগ, সংগ্রাম, সংকল্প, সততা, শপথে জনগণের সাথে’।
সভার মঞ্চে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কাজী জাফরউল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, সিমিন হোসেন রিমি, এ এইচ এম খায়রুজাজামান লিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশ গ্রহণ করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এই অর্জনের জনক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই দেশের আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় দুটি লিগ্যাসি তৈরি হয়েছে। একটি স্বাধীনতার জন্য, এটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনি নেই। তার মৃত্যু নেই। তিনি আছেন অমর হয়ে। আরেকটি লিগ্যাসি অর্থনৈতিক মুক্তির, সেটি শেখ হাসিনার। যতদিন বাংলা আছে, ততদিন শেখ হাসিনাও অমর হয়ে থাকবে। তিনি আমাদের ম্যাজিশিয়ান অব পলিটিক্স।
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আসা সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা স্বাধীনতার আদর্শে বিশ্বাস করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন, দেশের সব পর্যায়ের মানুষ, রাজনৈতিক নেতারা, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি সবার কাছে আমি আহ্বান জানাই, আমাদের ভুল-ত্রুটি নেই, তা আমরা বলবো না। তারপরও শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের জনগণের একমাত্র আস্থার ঠিকানা। আসুন আমরা সবাই মিলে তার হাতকে শক্তিশালী করি।
বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠ শুরু হয়।
এর আগে বিকেল ৩ টা ৪০ মিনিটে অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবি/এইচএন