নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে রিজভী গভীর রাতে যুবদলনেতা রেজাউল কবির পল-কে তুলে নেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
রিজভী বিবৃতিতে বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যুবদলের ঢাকা জেলা সভাপতি ও যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রেজাউল কবির পলকে তার ধানমণ্ডির বাসা থেকে গোয়েন্দা পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘চলমান গণ-আন্দোলনে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী তাদের পতনের আশঙ্কায় এতটাই ভীত হয়ে পড়েছে যে, নিরীহ মানুষসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের পাশাপাশি গুমের মতো চরম মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে যাচ্ছে।
গতরাতে রেজাউল কবির পল-কে সাদা পোশাকের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা মানবতাবিরোধী অপরাধেরই অংশ। সার্বিক অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, রিমান্ডে নিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন, অপহরণ ও গুম করে দেশে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে কর্তৃত্ববাদী সরকার। কিন্তু এটি এবার সম্ভব নয়।
কারণ, অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসনে ক্ষিপ্ত জনগণ এখন জীবন মরণ প্রতিজ্ঞা নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণ ঘরে না ফিরতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘রেজাউল কবির পল-কে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনই তুলে নিয়ে গেছে। পল নিখোঁজ থাকার ঘটনায় তার পরিবার এবং দলের নেতাকর্মীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে তাকে জনসম্মুখে হাজির করার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’
এবি/এইচএন