লাইফস্টাইল ডেস্ক: রান্নায় প্রতিদিন কমবেশি মসলা ব্যবহার করেন সবাই। আর প্রতিদিন রান্নায় এমন কিছু মসলার ব্যবহার হয় যার মধ্যে আছে অনেক গুণ। অথচ আমরা অনেকেই এসব মসলার গুণাবলীর কথা জানি না। অনেক মসলাতেই আছে ভেষজ গুণ।
এছাড়া থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপকরণ। কোনো মসলা সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে।
কোনো মসলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। কিছু মসলা আবার সার্বিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। এই তালিকায় কোন কোন মসলা আছে, তাদের কী কী গুণ আছে সে সম্পর্কে জেনে নিন-
দারুচিনিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এর সাহায্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। এছাড়া ইনফ্লেমেশন অর্থাৎ প্রদাহজনিত সমস্যা কমায়। এছাড়া দারুচিনিতে থাকা বিভিন্ন উপকরণ শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।
তাই শীতে যাদের অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগে তারা বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে তো বটেই, চা বা গরম পানীয়তেও দারুচিনির গুঁড়া বা টুকরো ব্যববহার করতে পারেন।
হলুদ:
হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। একাধিক রোগ সারাতে এ ভেষজের বিকল্প নেই। সর্দি-কাশি হলে হলুদের পানীয় তাৎক্ষণিক আরাম মিলবে। গলা ব্যথা ও ইনফেকশন কমাতেও কাজ করে হলুদ।
এর পাশাপাশি হজমশক্তি ভালো রাখে। প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতেও কাজে লাগে হলুদ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এমনকি অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতেও হলুদ কার্যকরী।
আদা:
এই ভোষজে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপকরণ। আদার রস আপনার হজমশক্তি ভালো করবে। কমাবে গ্যাস, অম্বল অর্থাৎ অ্যাসিডিটির সমস্যা। এছাড়া গলায় সংক্রমণ হলে আদা দিয়ে চা করে খেলে উপকার পাবেন।
কাশির সমস্যায় দারুণভাবে কাজে লাগে আদার রস। গলা ব্যথাও কমাতে পারে আদা। শীতকালে যারা অতিরিক্ত সর্দি-কাশিতে ভোগেন তারা আদার কুচি রাখতে পারেন সঙ্গে।
গলা খুসখুস হোক বা শুকনো কাশি, নিমেষে কমাতে পারে আদার রস। এছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে আদা।
গোলমরিচ:
এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। শীতে যারা কাশিতে ভোগেন তারা খুসখুসে কাশি কমানোর ক্ষেত্রে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে গোলমরিচের গুঁড়ার সঙ্গে চিনি বা মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
আস্ত গোলমরিচ চিবিয়ে খেতে পারলে সবচেয়ে ভালো। বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্টে ভুগলে গোলমরিচের পানীয় খেলে আরাম মিলবে মুহূর্তেই।
এলাচ:
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এলাচ। এছাড়া বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর রান্নায় এলাচ গুঁড়া কিংবা আস্ত এলাচ দিলে খুবই সুন্দর গন্ধ ও স্বাদ হয় খাবারে। সূত্র: এবিপি লাইভ
এবি/এইচএন