নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন শিক্ষাখাতকে গুরুত্ব দেয়ার বিকল্প নেই। তাই শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় গণসাক্ষরতা অভিযানের উদ্যোগে ‘শিক্ষায় ন্যায্যতাভিত্তিক বাজেট: আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়। মালালা ফান্ড ও জিপিই’এর সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপার্সন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাজেট বিষয়ক আলোচনাপত্র উপস্থাপন করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোছাঃ নূরজাহান খাতুন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডাঃ ফওজিয়া মোসলেম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীন, গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক তপন কুমার দাশ। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ, গবেষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দেড়-শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে সমন্বিতভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষায় প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি পেয়েছে এবার গুণগত মান নিশ্চিতে আমাদের কাজ করতে হবে। সরকার অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে, ভবন দিচ্ছে এখন শুধু সমন্বয় করে বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বাস্তবায়নের দায়িত্বে যাঁরা আছেন তাঁদের অদক্ষতার জন্য যদি টাকা ফেরত যায় তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
শিক্ষকতায় তরুণদের আকর্ষিত করতে হলে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিসহ প্রশিক্ষণ, চাকুরির পরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে নইলে তাঁরা অন্য পেশায় চলে যাবেন। শিক্ষা আইনের খসড়া কেন আলোর মুখ দেখছেনা এব্যাপারে আমি উদ্যোগ নেব। উপবৃত্তির অর্থবৃদ্ধির দাবিও যৌক্তিক। আমি এর সাথে একমত এবং এই সুপারিশটিও যথাযথ জায়গায় পৌঁছানোর চেষ্টা করব। এসব ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
সভায় বাজেট বিষয়ক আলোচনাপত্র উপস্থাপন করে গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, টাকার অংকে বরাদ্দ বৃদ্ধি হলেও শতাংশে বরাদ্ধ কমেছে। আবার যে অর্থ বরাদ্দ হয় তাও আবার শতভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়না। উল্টোদিকে সময়মত অর্থছাড় না হওয়াকেও কেউ কেউ দুষছেন। গত কয়েকদিন আগেও আমরা দেখেছি সংশোধিত বাজেটে শিক্ষাখাত থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা ফেরত নেয়া হয়েছে। আমাদের দাবি অন্ততপক্ষে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। অর্থ সংস্থানের জন্য প্রয়োজনে এডুকেশন সারচার্জ চালু করা এবং বিভিন্ন ব্যাংক ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সিএসআর ফান্ডের অর্থ ব্যবহার করা যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এবি/এইচএন