জামিয়াত উলামা-ই-ইসলাম (ফজল) বা জেইউআই-এফ প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান অবিলম্বে শাহবাজ শরিফ সরকারের পদত্যাগ এবং দ্রুত নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমান প্রশাসন জনগণের প্রকৃত ম্যান্ডেটের প্রতিফলন নয়। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সামা টিভি।
গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার আসাদ কায়সারের দেওয়া এক নৈশভোজে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ফজলুর রহমান সাম্প্রতিক সাধারণ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, ‘৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কারচুপির শিকার হয়েছে। এটি জনগণের প্রকৃত রায় নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘দেশে পছন্দ মতো সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।’
ফজলুর রহমান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন, "যদি নির্বাচন কমিশন সত্যিকার অর্থে স্বাধীন ও সার্বভৌম হয়, তবে তাদের উচিত অবিলম্বে পদত্যাগ করা, যাতে একটি নতুন কমিশন গঠন করা যায়।’
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা আসাদ কায়সার নৈশভোজে উপস্থিত সব রাজনৈতিক নেতাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমি সকল রাজনৈতিক নেতৃত্বের অংশগ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞ।’
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কায়সার বলেন, ‘বর্তমানে দেশের অবস্থা সংকটময়, এবং এ সময় সংবিধানের সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব নিশ্চিত করা জরুরি।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়াম পাকিস্তান পার্টির (এপিপি) আহ্বায়ক শাহিদ খাকান আব্বাসি বিরোধী দলগুলোর বৈঠকের পর একটি ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
বিরোধী নেতারা বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে বর্তমান সরকার জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব করে না।
ঘোষণাপত্রে আরো দাবি করা হয়, ‘রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে এবং প্রিভেনশন অফ ইলেকট্রনিক ক্রাইমস অ্যাক্টের মতো বিতর্কিত আইন বাতিল করতে হবে’। আব্বাসি বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে পরামর্শ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবো।’
আমারবাঙলা/জিজি