আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লেবানন সীমান্তে শিগগির অভিযান শুরু করবে ইসরায়েল। গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে আলাপকালে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এ কথা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আরব নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গতকাল সোমবার গাজা সীমান্তের কাছে সেনাদের বলেছেন, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে (লেবানন সীমান্ত) বাড়তি সেনা মোতায়ন করা হচ্ছে। তারা শিগগিরই অভিযানে নামবে...উত্তরাঞ্চলে বাহিনীকে শক্তিশালী করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেছেন, ধীরে ধীরে রিজার্ভ সেনাদেরও প্রস্তুত করে মাঠে নামানো হবে, যাতে তারা ভবিষ্যতে বিভিন্ন অপারেশনে অংশ নিতে পারে।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর থেকে, লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও হামাসের মিত্র লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটছে।
সোমবার হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী ইরানের তৈরি ফালাক-১ রকেট ব্যবহার করে সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি সেনা অবস্থানে ১০টি হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইসরায়েল সামরিক স্থাপনায় কোনো হামলার খবর জানায়নি।
চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলের সেনাপ্রধান হারজি হালেভি বলেছিলেন, উত্তর সীমান্তে যুদ্ধের সম্ভাবনা ‘অনেক বেশি’ হয়ে গেছে।
হালেভি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি জানি না উত্তরে যুদ্ধ কখন শুরু হবে। তবে আমি বলতে পারি, আগামী মাসে এটি হওয়ার সম্ভাবনা অতীতের তুলনায় অনেক বেশি।’
গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষে দুই শতাধিক হিজবুল্লাহ সদস্য ও বেসামরিক লেবানিজ নিহত হয়েছে। বিপরীতে ইসরায়েলের ৯ সেনা ও ৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট দাবি করেছেন, গাজায় হামাস যোদ্ধার সংখ্যা কমছে ও হামাসের গোলাবারুদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে বলে মনে করেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এবি/এইচএন