লক্ষ্মীপুর চক বাজার মসজিদ মার্কেটে দুই কলেজ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিককে হেনস্তার ঘটনায় একটি দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে লেডিস শপ নামীয় দোকানটি তালাবদ্ধ করে দেয় মার্কেট পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। তবে রাহি থ্রি পিছ এণ্ড বেবী ফ্যাশন নামের অন্য অভিযুক্তের দোকানটি কোন এক অদৃশ্য ইশারায় বন্ধ হয়নি । এতে ক্ষুব্ধ জেলার সচেতন মহল।
এদিকে, গত রোববার দামাদামি করে পণ্য নিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে ওই দুই নারী ক্রেতাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন দোকান মালিক ও কর্মচারিরা। বিষয়টির প্রতিবাদ করায় তাদেরকে ওই দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ ও কর্মচারীরা ‘জিম্মি’ করে রাখে বলে অভিযোগ উঠে।
এমন অভিযোগের সত্যতা জানতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক দোকান মালিকদের রোষানলে পড়ে। একপর্যায়ে তাকে হেনস্তাও করা হয়।
এ ঘটনার সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক সহ জেলার সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠে। এরপরই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন ও চক বাজার মসজিদ মার্কেট পরিচালনা কমিটি।
সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত এক ব্যবসায়ীর দোকান তালাবদ্ধ করে দেয় তারা। কিন্তু এখনো অন্য অভিযুক্তের দোকান তালাবদ্ধ কিংবা মালিক ও কর্মচারির বিরুদ্ধে কোন ধরণের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, দামাদামি করে পন্য ক্রয় না করায় দুই নারী ক্রেতা ও সাংবাদিককে হেনস্তার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টির খবর পেয়ে অভিযুক্ত দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অন্য দোকান মালিক ও কর্মচারিদেরকে সতর্ক করেছি। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। সাংবাদিককে যেই ব্যাক্তি হেনস্তা করেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মোন্নাফ বলেন, চক বাজার মসজিদ মার্কেটে দুই নারী ক্রেতা ও সাংবাদিকের সঙ্গে বিক্রেতাদের অশোভন আচরণের বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি অভিযোগ না করায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের বলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
আমারবাঙলা/ইউকে