নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের আবাসন খাতের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (রিহ্যাব) পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২৬ মেয়াদের নতুন কমিটি দায়িত্ব নিয়েছে।
শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে রিহ্যাব প্রশাসক (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব) জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছ থেকে দায়িত্ব নেয় নতুন কমিটি।
রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন জাপান গার্ডেন সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ব্রিক ওয়ার্কস লিমিটেডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভূঁইয়া। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তারা।
এছাড়া গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রিহ্যাব সদস্যদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন ২৯ জন পরিচালক। এরপর ২৯ ফেব্রুয়ারি রিহ্যাব কার্যালয়ে এ কমিটি গঠিত হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, প্রথম সহ-সভাপতি হাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন এমএ আউয়াল, দ্বিতীয় সহ-সভাপতি আক্তার প্রপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আক্তার বিশ্বাস, তৃতীয় সহ-সভাপতি বেসিক বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ এবং সহ-সভাপতি (অর্থ) আরমা রিয়েল এস্টেটের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক এবং চট্টগ্রাম থেকে সহ-সভাপতি আর এফ বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রশাসক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এখন যেভাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্ব হস্তান্তর হয়েছে ভবিষ্যতেও রিহ্যাবের নতুন কমিটির নেতারা তা অব্যাহত রাখবে আমার বিশ্বাস।
রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সদস্যরা ভালোবেসে এবং অনেক প্রত্যাশা নিয়ে নতুন পরিচালকদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন। সদস্যরা ভোটের মাধ্যমে তাদের যে দায়িত্ব দিয়েছে নতুন কমিটিকে তা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে। রিহ্যাবের ভাবমূর্তি রক্ষায় ও ব্যবসায়ীদের সার্থরক্ষায় সদা অবিচল থাকার চেষ্টা করা হবে।
লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, নির্বাচনে পরাজিত সদস্যরা নতুন পরিচালকদের স্বাগত জানিয়েছেন। অতএব, নতুন কমিটির দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। পুরো পরিচালনা বোর্ডকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে জবে আবাসন ব্যবসায়ীদের স্বার্থে।
এম এ আউয়াল বলেন, রিহ্যাবে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান করা হবে। আবাসন ব্যবসায় অনেক সমস্যা আছে। সরকারের সহযোগিতায় সেগুলোর সুরাহা করা হবে।
আক্তার বিশ্বাস বলেন, যেসব অপূর্ণতা আছে। তা পূরণ করা হবে। সেজন্য সরকার ও সদস্যদের সহায়তা প্রয়োজন। সদস্যদের ব্যবসাসংক্রান্ত দাবি ও শর্তগুলো রয়েছে তা আদায়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।
সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ বলেন, রিহ্যাব যে গাম্ভীর্যপূর্ণ ভাবমূর্তি হারিয়েছে, তা পুনরায় ফিরিয়ে আনা হবে। দীর্ঘদিন জিম্মি হয়ে থাকা রিহ্যাবের ট্রেনে চড়েছে নতুন কমিটি। গতি বাড়িয়ে এ ট্রেনকে চালাতে হবে।
সহ-সভাপতি (অর্থ) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সদস্যদের অধিকার রক্ষা করতে পারলে কমিটির মূল লক্ষ্য বাস্তবায়ন হবে।
এবি/এইচএন