নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর চেকপোস্ট এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের সাথে সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজন নারী। নিহতদের লাশ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে জেলার পুঠিয়ার বেলপুকুর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের লিডার মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।
নিহতরা হলেন-ইনসাব আলী (৭৫), আইয়ুব আলী লাবু (৩৫), মেয়ে পারভীন বেগম (৩৫), লাবুর ভাই আবু সাঈদের মেয়ে শারমিন খাতুন (১৭) এবং সিএনজির চালক মোখলেসুর রহমান (৪৫) মারা গেছেন। মোখলেসুরের বাড়ি ইনসাবদের বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরের মকিমপুর গ্রামে।
দুর্ঘটনায় ট্রাকের চালকের সহকারী রাজশাহীর কাটাখালী সিটি গেইট এলাকার মো. হৃদয় (১৮), ট্রাকের আরোহী পাবনার সুজানগরের রতন কুমার সাহা (৫৫) এবং স্থানীয় মুদি দোকানী দেলোয়ার হোসেন (৪৫) আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে হৃদয় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ট্রাকের আরোহী রতন কুমার সাহা জানান, তিনি টিসিবির পণ্যের একজন পরিবেশক। রাজশাহী থেকে ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা আমচত্বর-বেলপুকুর সড়ক হয়ে রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কে ঢুকছিলেন। ট্রাকের গতি কমই ছিল। সামনে থেকে দ্রুতগতির একটি সিএনজি অটোরিকশা এসে ট্রাকের নিচে ঢুকে যায়। এরপর ট্রাকটি দেলোয়ার হোসেনের মুদি দোকানের ওপর দিয়ে সিএনজি অটোরিকশাকে টেনে নিয়ে খাদে নেমে যায়। এ দুর্ঘটনায় সিএনজি অটোরিকশাটি একেবারেই দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
নিহত ইনসাব আলীর স্বজনরা জানান, কিছুদিন আগে ইনসাব আলীর ক্যানসার শনাক্ত হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার কেমো দেওয়া শুরু হয়েছে।
শুক্রবার দ্বিতীয় কেমো দেওয়া হয়েছে। শনিবার শেষ কেমোটা দেওয়ার কথা ছিল। এ জন্য পরিবারের সদস্যরা ইনসাব আলীকে রাজশাহী নিয়ে আসছিলেন। পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
রাজশাহীর বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ জানান, দুর্ঘটনার পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছয়জনকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। আর অন্য আরেকজন গুরুত্বর আহত অবস্থায় বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালককে পাওয়া যায়নি। নিহতদের মরদেহ রামেকের মর্গে আছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে
এবি/এইচএন