রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল সাত দশমিক তিন। এর উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশের পাশের দেশ মিয়ানমারের মান্দালয়। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৫৯৭ কিলোমিটার। সাত দশমিক তিন মাত্রার এই ভূমিকম্প বড় ধরনের বলে গণ্য করা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাইয়াত কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল সাত দশমিক সাত। এর উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর–উত্তরপশ্চিমে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ১০ কিলোমিটার গভীরে।
থাইল্যান্ড এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য স্থানেও শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে।
স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে সাগাইং শহরের ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে ইউএসজিএস জানিয়েছে।
আল জাজিরা বলছে, গৃহযুদ্ধের মধ্যে থাকা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে সেখানকার ভীতসন্ত্রস্ত বাসিন্দারা উঁচু ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে পুল থেকে পানিও বেরিয়ে আসতে শুরু করে।
এদিকে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে চীনেও। চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল সাত দশমিক নয়। চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার তথ্য অনুসারে, সিইএনসি-এর একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ইউনানে কম্পন অনুভূত হয়েছে’।
আমারবাঙলা/এমআরইউ