নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধকে কেন্দ্র করে গত ২৮ অক্টোবর থেকে রাজধানীতে মোট ৬৪টি বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ৬৪টি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। নাশকতার উদ্দেশ্যে বাসে আগুন দেওয়ার সময় ২ জন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৩ জনকে গ্রেফতার ও অগ্নি-সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দেওয়ায় পুরস্কার দেয়াওর বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মহিদ উদ্দিন বলেন, গত ২৯ অক্টোবর থেকে ৩ দফা অবরোধ ও একদিন হরতাল পালিত হয়েছে। এ কর্মসূচিতে জনগণের স্বাভাবিক জনজীবনে বিঘ্নিত করার প্রয়াস করা হয়েছে। যেকোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয়ে ডিএমপি ইতিবাচক। তবে আমরা দেখেছি রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রকাশিত ও অগ্রহণযোগ্য কিছু ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতিকারীরা এ সময় ঢাকা মহানগর এলাকায় ৬৪টি বাসে আগুন দিয়েছে। দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে বাসে আগুন দিয়েছে। রাজধানীর ১২টি স্থানে আগুন দেওয়ার সময় ১২ জন দুষ্কৃতিকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমরা সবাইকে একটি অনুরোধ করতে চাই, ডিএমপি রাজনৈতিক কর্মসূচি হলে তার জায়গা থেকে যা যা করার তা করবে। যদি কেউ নাশকতা ও অগ্নিসংযোগ করে তাহলে ডিএমপি আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড যারা করে, তাদের বলতে চাই, তারা যেন এসব না করে। এসব দুষ্কৃতিকারীদের বিভিন্ন জায়গা থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি আগামী ১২ ও ১৩ নভেম্বর অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
এ কমিশনার আরও বলেন, ‘অবশ্যই, তাদের অনেক ক্ষেত্রে প্রলোভন দেওয়া হয়েছে যে, ‘তোমার জায়গা যদি সুদৃঢ় রাখতে চাও তাহলে এই কাজটি করে দাও’। এই ধরনের অনেক তথ্য আমাদের কাছে আছে। যারা অবরোধের ডাক দিয়েছে তারা এসব পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের লোক। তাদেরকে চিহ্নিত করতে ও নাশকতাকারীদের পেছনে কারা আছে সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানান, জনগণ এখন সচেতন। তারাও নাশকতা ঠেকাতে সোচ্চার। ইতোমধ্যে নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য একজনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আরও কয়েকজন বাকি আছে। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।
এবি/এইচএন