আসন্ন রমজান মাসে লোডশেডিং হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আন্ত:মন্ত্রণালয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, রমজানে ১৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রমজানে ও গ্রীষ্মে ১৮ হাজার হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত চাহিদা হতে পারে। বিদ্যুৎ খাতে ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের সিদ্ধান্ত হয়েছে। রমজানে যান্ত্রিক ত্রুটির বাইরে কোনো লোডশেডিং হবেনা। তবে গ্রীষ্মে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে।’
ফাওজুল কবির বলেন, ‘এসময় কুলিং লোড বাড়ে। তা কমাতে শীতাতপ যন্ত্র ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখলে লোডশেডিং মোকাবিলা সহজ হবে। সবাইকে সহায়তা করতে হবে লোডশেডিং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়।’
বেআইনি গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে বৈধ গ্রাহকরাও ভোগান্তিতে পড়েন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো বিচ্ছিন্ন করার জোর পদক্ষেপ চলমান থাকবে।’
আমদানির অর্থ সংস্থান নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা জানান, আগামী মৌসুমের অর্থের চাহিদা অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নরকে জানানো হয়েছে।
তারা জ্বালানি ও বিদ্যুৎ আমদানির প্রয়োজনীয় অর্থ সরবারহের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান ফাওজুল কবির। তিনি জানান, সরকার ব্যয় সংকোচনে জোর দিলেও, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হবে।
রমজান মাস শুরু হতে বাকি আছে এক মাসেরও কম সময়। এসময়, সেচ মৌসুমের ফলে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। জ্বালানি আমদানির অনিশ্চয়তা ও বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বকেয়া পরিশোধে বিলম্বের কারণে আসন্ন রমজান ও গ্রীষ্মকালে সারাদেশে ব্যাপক লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত দুই বছর ধরে তারা বিদ্যুৎকেন্দ্র মালিকদের পাওনা পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২০২২ সাল থেকে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন শুরু হওয়ায় এ সংকট দেখা দেয়।
আমারবাঙলা/জিজি