অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে আদর্শিক গুণ্ডাদের লালনপালন করেছেন হাসিনা। নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞকে ন্যায্যতা দিয়েছে তারা। এই সিস্টেম এমনভাবে বানিয়েছে, যেখানেই হাত দিই সেখানেই আদর্শিক গুণ্ডা, সেখানেই লীগের দোসর পাই। হাসিনার ফ্যাসিবাদে লীগ কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশের অংশ ছিল। শুধু প্রশাসন ও পুলিশযন্ত্র এ ফ্যাসিবাদের অংশ না, পুরো জাতিকে দূষিত করে রেখে গেছে। সামান্য সংস্কারে এটা বিলোপ হবে না। পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে শিশুদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দূষিত জাতি/ফ্যাসিবাদী জাতি তৈরি করতে চেয়েছে। সেটা এ শিশুরাই ভেঙে দিয়েছে।’
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পিআইবিতে তারুণ্যের উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, ‘এক দল, এক দেশ, এক নেতা এ আদর্শ ধরে হাসিনা এগিয়েছেন। বাবার রেপ্লিকা ধরে হাসিনা দেশে নিপীড়ন চালিয়েছেন। মুজিব রক্ষীবাহিনী তৈরি করেছিলেন, সেই কাজ পুলিশকে রক্ষীবাহিনীতে রূপান্তর করে হাসিনা করেন। সেনাবাহিনীকে মুজিব দূষিত করতে না পারলেও হাসিনা করতে পেরেছেন। বাবার ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে হাসিনা বাকশাল নাম না দিয়ে পুরো প্রশাসন ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে বাকশাল বানিয়েছেন।’
মাহফুজ আরো বলেন, ‘এ প্রজন্ম কয়েক মাস রাতে ঘুমাতে পারে নাই। এখনো যাতনার মধ্যে বসবাস করছে তরুণরা। স্বপ্ন তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে, দেশ আহত অবস্থায় আছে। আমরা লাঘবের চেষ্টা করেছি, কিন্তু পুরো সফল হইনি। বিচারের মাধ্যমে এটা লাঘব হবে।’
অভ্যুত্থান বিপ্লবে রূপান্তর না হলেও অভ্যুত্থান প্রক্রিয়া বিদ্যমান আছে উল্লেখ করে মাহফুজ বলেন, ‘মুজিবীয় হৃদয়ের দূষণ থেকে জাতি মুক্তি পেয়েছে। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে শহীদদের স্পিরিট নিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তুলতে হবে। বিচার ও সংস্কারে দরকার আমূল পরিবর্তন, সেটা অল্প দিনে সম্ভব না। আবু সাঈদের ত্যাগ, স্পিরিট ধারণ করতে হবে। আমরা বিস্মৃতপরায়ণ জাতি, সহজেই ভুলে যাই। চাই না মানুষ বিজনেস ইউজুয়ালে ঢুকে পড়ুক। চাই এ ক্ষোভ জারি থাকুক। এ ক্ষোভ দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে।’
সংস্কার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বিচার ও সংস্কার কাজ নিয়ে আমরা এগুচ্ছি। বিচার কাজ এগোচ্ছে, সংস্কার এগোচ্ছে। এ সরকারের মেয়াদে এমন একটা পর্যায়ে দেশকে রেখে যেতে চাই যাতে জনগণকে আশাহত না হতে হয়।’
আমারবাঙলা/জিজি