যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েকদিনের মাথায় আবারো সংঘর্ষে জড়িয়েছে ইসরায়েল ও লেবাননের ইরান সমর্থিত সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের হামলায় লেবাননে আরো ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েকজন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, সোমবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অন্তত দুজন নিহত হন। পরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে সতর্কমূলক গুলি ছোড়ে হিজবুল্লাহ। এরপর লেবাননের একাধিক জায়গায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় আরো নয় লেবানিজ নিহত হন।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে এই সংঘাত চলে আসছে। তবে গত ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় লেবাননে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তারপরও লেবাননে বেশ কয়েকবার হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে হতাহত হন অনেকেই। এই হামলা চুক্তির লঙ্ঘন দাবি করে সোমবার সতর্কীকরণ গুলি চালায় হিজবুল্লাহ। আর তাতেই পরিস্থিতি আবারো উত্তপ্ত ওঠে। পাল্টা জবাব দিতে লেবাননে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
আল জাজিরা বলছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের বুরগাজ এলাকায় ও ইয়ারুন শহরের উপকণ্ঠে যুদ্ধবিমান থেকে লাগাতার বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। পূর্বাঞ্চলের বেকা উপত্যকায়ও চালানো হয় বিমান হামলা। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, কঠোর জবাব দিতে তারা হিজবুল্লাহর বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে কড়া জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ বলেন, হিজবুল্লাহর এই সতর্কীকরণ গুলির পাল্টা জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র।
আমারবাঙলা/এমআরইউ