যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে টর্নেডো এবং তীব্র ঝড়ের আঘাতে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে মারা গেছেন ১১ জন।
আরো টর্নেডো আঘাত হানতে পারে বলে শনিবার (১৫ মার্চ) মিসৌরির গভর্নর সতর্ক করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত এবং শনিবার ভোরে ২৬টি টর্নেডো আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে। আরকানসাস, ইলিনয়, মিসিসিপি এবং মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের কিছু অঞ্চলে শক্তিশালী বজ্রপাত হয়েছে।
টর্নেডো ও ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মিসৌরির স্থানীয়রা ‘অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতির’ কথা জানিয়েছেন।
মিসৌরি ও টেনেসি অঙ্গরাজ্যে বজ্রপাত এবং তীব্র বাতাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তাই সেখানে নতুন করে টর্নেডো আঘাত হানতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ব্রায়ান কেম্প জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তিনি স্থানীয়দের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলা যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মিসৌরি স্টেট হাইওয়ে প্যাট্রোল বলেছে, ‘টহল দলের সদস্যরা এবং স্থানীয় সংস্থাগুলো দুর্দশাগ্রস্ত লোকজনকে সহায়তা ও ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।’
সিবিএস নিউজ বলেছে, দেশটির টেক্সাস ও ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যেও ধ্বংসাত্মক ঝড় আঘাত হেনেছে। ওই দুই অঙ্গরাজ্যে ১০০টিরও বেশি স্থানে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। টর্নেডোর আঘাতে রাস্তায় চলন্ত কয়েকটি ট্রাক উল্টে গেছে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ