ডিয়েগো মারাডোনার মৃতদেহের অবস্থা দেখে মনে হয় তিনি 'যন্ত্রণা' ভোগ করে মারা গেছেন। তার মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত সাতজন চিকিৎসকের বিচার চলাকালীন বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ময়নাতদন্তে অংশ নেওয়া একজন বিশেষজ্ঞ এমন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
ফরেনসিক ডাক্তার মাউরিসিও ক্যাসিনেলি সাক্ষ্য দেন, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ এবং লিভার সিরোসিসের কারণে মারাডোনার মৃত্যুর ‘অন্তত ১০ দিন’ আগে থেকেই তার ফুসফুসে পানি জমছিল। তাকে যারা চিকিৎসা করছিলেন, সেই ডাক্তার ও নার্সদের এটি লক্ষ্য করা উচিত ছিল, আদালতে বিচারকদের বলেন তিনি।
ক্যাসিনেলি বলেন, ম্যারাডোনার হৃদপিণ্ডের ওজন ‘স্বাভাবিকের প্রায় দ্বিগুণ ছিল’। তিনি বলেন, এর ফলে তার মৃত্যুর অন্তত ১২ ঘণ্টা আগে ‘যন্ত্রণা’ হয়েছিল।
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে ম্যারাডোনা মারা যান, মস্তিষ্কে জমাট বাঁধা রক্তের জন্য অস্ত্রোপচারের পর তিনি বাড়িতে সুস্থ হচ্ছিলেন। এই কিংবদন্তি তারকা অবশ্য কয়েক দশক ধরে কোকেন এবং অ্যালকোহলের নেশার সঙ্গে লড়াই করেছিলেন।
তার সাত সদস্যের চিকিৎসা দল এখন চিকিৎসা অবেহেলার অভিযোগের জন্য বিচারের মুখোমুখি। এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে ‘সম্ভাব্য উদ্দেশ্য নিয়ে নরহত্যা’ করার অভিযোগ আনা হয়েছে- তারা এমন একটি পথ অনুসরণ করছিলেন জেনেও যে এটি তাদের রোগীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের আট থেকে পঁচিশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, মৃত্যুর আগে ফুটবলারকে ‘দীর্ঘ, যন্ত্রণাদায়ক সময়ের’ জন্য তার ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
জুলাই পর্যন্ত চলা এই দীর্ঘ বিলম্বিত বিচারে প্রায় ১২০ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ