জেলা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা-মা ও তিন ভাই-বোনের পর এবার চলে গেলো শিশু সোনিয়া আক্তারও (১২)। এ নিয়ে এ ঘটনায় ওই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু হলো।
বুধবার (২৭ মার্চ) ভোরে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
এর আগে মৃত ৫ জন হলেন, বাক প্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমান (৫০), তার স্ত্রী শিরিন বেগম (৪৫), মেয়ে সামিয়া (১৫), সাবিনা (৯) ও ছেলে সায়েম উদ্দিন (৭)।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিনভর নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিল সোনিয়া। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। হার্টেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১০টায় স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামের ভাঙ্গার পাড় এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে একই পরিবারের ৫ সদস্যের মৃত্যু হয়।
সোনিয়া স্থানীয় ইন্তাজ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তার মারা যাওয়া বোন সামিয়া নবম শ্রেণিতে এবং সাবিনা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো।
সোনিয়ার মামা আজির উদ্দিন জানান, সোনিয়াদের বাড়ি থেকে আমাদের বাড়ির দূরত্ব মাত্র পাঁচ মিনিটের। সেহরি খেয়ে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়েছে তখনই এ ঘটনা ঘটেছে। সোনিয়াদের ঘরের পাশেই মসজিদ। প্রথমে মসজিদের লোকজন আগুন দেখে ডাকাডাকি শুরু করেন। খবর পেয়ে আমরাসহ আশেপাশের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। কিন্তু তখন আর কিছু করার ছিল না।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এছাড়া দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বাংলাদেশ বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীকে আহ্বায়ক করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুতায়ন বোর্ড।
এবি/এইচএন