আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বাতিল করায় সমালোচনার মুখে পড়েছে মেটা। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে খামেনির অ্যাকাউন্ট সরিয়ে ফেলায় মেটার বিরুদ্ধে ‘বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন’ করার অভিযোগ এনেছে ইরান।
রোববার (১০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ইরানিদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। দেশটিতে এই দুটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার যদিও নিষিদ্ধ, তবে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও, ইরানিরা ভিপিএন ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকে।
খামেনির অ্যাকাউন্ট গত মাসে বাতিল করা হয় বলে জানিয়েছে মেটা। প্রতিষ্ঠানটির মতে, ‘বিপজ্জনক সংস্থা ও ব্যক্তিদের’ বিষয়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের নীতি ‘বারবার লঙ্ঘন’ করায় খামেনির অ্যাকাউন্টগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান। গত শুক্রবার মিডল ইস্ট আইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এটা অবৈধ ও অনৈতিক।
হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান বলেন, একজন বিপ্লবী নেতার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট বাতিল করাটা শুধু বাকস্বাধীনতার লঙ্ঘন নয়, বরং তার লাখ লাখ অনুসারী ও সংবাদ প্রকাশের জন্যও অপমানজনক।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন, খামেনির অ্যাকাউন্ট বাতিল করার মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনের একজন বিশিষ্ট সমর্থকের মতামত সেন্সর করার (বিধিনিষেধ আরোপ) চেষ্টা করছে ‘সিলিকন ভ্যালির সাম্রাজ্য’।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হামাসের পক্ষে কথা বলায় তার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বাতিলে চাপ বাড়ে মেটার ওপর। হামাসকে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা লোহিত সাগরে ইসরায়েল অভিমুখী পশ্চিমা বিশ্বের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালালে সেগুলোও সমর্থন করেছিলেন খামেনি।
টাইমস অব ইসরায়েলের খবর অনুসারে, খামেনি ১৯৮৯ সাল থেকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার পদে রয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে তার অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখের বেশি ফলোয়ার ছিল।
এবি/এইচএন