সংগৃহীত
সারাদেশ

মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে চাঁদপুরের কৃষকরা

চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু পাইকারদের দেখা নেই। কুমড়া বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

কৃষকরা জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকার না আসায় জমিতেই পাকতে শুরু করেছে কুমড়া। দ্রুত বিক্রি করতে না পারলে জমিতে বোরো আবাদ নিয়ে দেখা দেবে শঙ্কা। তবে কৃষকদের এসব কুমড়া বাজারে নিয়ে বিক্রির পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কুমড়ার কম-বেশি আবাদ হলেও হাজীগঞ্জের ডাকাতিয়া নদী এলাকায় পলিমাটি ঘেরা বলাখলা ও শ্রীনারায়ণপুর, অলিপুর গ্রামে চাষ করা হয়েছে মিষ্টি কুমড়া। সাধারণত গ্রীষ্মকালীন ফসলের জন্য অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করা হয়। এবছর এলাকায় মিষ্টি কুমড়ার পাশাপাশি খিরা ও শসার আবাদ হয়েছে এবং ফলনও ভালো।

হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, মৌসুমভিত্তিক নিরাপদ শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসল আবাদে কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের নিয়মিত উদ্বুদ্ধ করা হয়। এ অঞ্চলের মাটি অপেক্ষাকৃত উর্বর। তাই শাকসবজি আবাদে সময়, শ্রম ও খরচ কম হওয়ায় প্রতি বছরই মিষ্টি কুমড়ার আবাদ বাড়ছে। এ বছর উপজেলার প্রায় ৬১৮ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে।

কৃষকরা জানান, চলতি মৌসুমে বলাখাল, শ্রীনারায়ণপুর গ্রামজুড়ে চাষাবাদ করা হয়েছে হাইব্রিড জাতের কুমড়া। এ কুমড়া এখন বিক্রি হওয়ার সময়। প্রতি বছর এ সময়ে জমিনের প্রায় ৬০ ভাগ কুমড়া বিক্রি হয়ে যায়। এ বছর কুমড়া আবাদ করে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। কারণ কুমড়া জমিতে পেকে রয়েছে, নেই কোনো পাইকার।

বলাখাল এলাকার কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর এ সময়ে ঢাকার কারওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর থেকে পাইকার আসে কুমড়া কিনে নিতে। এ বছর পাইকারদের দেখা নেই। যদি আর ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কুমড়াগুলো বিক্রি করতে না পারি তাহলে মাঠে বোরো ধান চাষ করা সম্ভব হবে না।

অলিপুর গ্রামের কৃষক ছিদ্দিক বলেন, অন্যান্য বছর মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করতে আমাদের চিন্তা করতে হয় না। বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে জমি থেকে কিনে নিতেন। প্রতি পিস কুমড়া ৫০ থেকে ১০০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হয়েছে। এবার কুমড়ার বাজার দর নেই, পাইকারও নেই। স্থানীয় বাজারে ছয় থেকে সাত কেজি ওজনের একটি কুমড়া ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করছি। তবু ক্রেতা পাচ্ছি না।

হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম বলেন, এ বছর হাজীগঞ্জ উপজেলায় মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে দ্বিগুণ। ২০২৩ সালে আবাদ হয়েছে ২৮৬ হেক্টর জমিতে। এ বছর ৬১৮ হেক্টরেরও বেশি জমিতে বাণিজ্যিকভাবে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে। ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক। তবে আমরা কৃষকের এসব মিষ্টি কুমড়া বিভিন্ন পাইকারি বাজারে নিয়ে বিক্রি করার পরামর্শ দিচ্ছি।

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ: যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দেশটির জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্...

গাজীপুরে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

গাজীপুরের কালীগঞ্জে বজ্রপাতে এক কৃষকের মর্মান্তিক...

বরফঠান্ডা পানিতে অনেক মানুষের গোসল, গিনেস রেকর্ডস

প্রচণ্ড শীতে জলাশয়ের প্রায় বরফঠান্ডা পানিতে গোসল ক...

নির্বাচনের সুষ্পষ্ট রোডম্যাপ চাইবে বিএনপি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চাচ্ছে চলতি বছরের ড...

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি সন্তুষ্ট না: মির্জা ফখরুল

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে নির্...

নারায়ণগঞ্জে ২১ শহীদ পরিবারকে জেলা প্রশাসনের আর্থিক অনুদান প্রদান

ছাত্র জনতার জুলাই গনঅভ্যুত্থানে শহীদ নারায়ণগঞ্জের...

বালুর ট্রাকে মিলল ১২৪ কেজি গাঁজা, গ্রেপ্তার তিন

গাজীপুর পূবাইলে ১২৪ কেজি গাঁজাসহ তিন জন মাদক কারবা...

তজুমুদ্দিনে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

ভোলার তজুমুদ্দিনে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং জনসচ...

মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর ঠাঁই হলো মিরপুর সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে

ফেনীর পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কন্যা সন...

বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব

বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা