ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তথ্যের জন্য পুরস্কারের পরিমাণ ২৫ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে মাদুরো তৃতীয় মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এই পুরস্কারের পরিমাণ বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে পুরস্কার ছিল ১৫ মিলিয়ন ডলার।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিরোধী নেতা এদমুন্দো গনসালেসের কাছে পরাজিত হওয়ার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মাদুরো ক্ষমতায় আছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২০১৩ সাল থেকে নিকোলাস মাদুরো ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট। বাইডেন প্রশাসন মাদুরোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না এবং তার পদত্যাগ দাবি করেছে। মার্কিন প্রশাসনের মতে, নির্বাসিত গনসালেসেই দেশের নেতৃত্বে আসা উচিত।
হাজারো সমর্থক ভোটের তালিকা উপস্থাপন করে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সহজেই বিজয়ী হয়েছেন এদমুন্দো গনসালেসে। সম্প্রতি গনসালেস ওয়াশিংটনে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
গনসালেস ভেনেজুয়েলায় ফিরে গেলে গ্রেপ্তার হওয়ার হুমকির মুখে পড়তে পারেন। তাই বর্তমানে স্পেনে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, গনসালেসেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকার করার কোনো প্রশ্নই আসে না। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ভেনেজুয়েলার সশস্ত্র বাহিনী শুধুমাত্র মাদুরোকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
তবে আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা বলেছেন, এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক ছিল না।
এদিকে হোয়াইট হাউস বলেছে, মাদুরোকে গ্রেপ্তারের জন্য ঘোষিত পুরস্কার ভেনেজুয়েলার জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ এবং মাদুরো ও তার মিত্রদের ওপর চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ভেনেজুয়েলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিওসদাদো কাবেলোর গ্রেপ্তারের জন্য ঘোষিত পুরস্কারের পরিমাণ ১০ মিলিয়ন ডলার থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলারে বাড়িয়েছে এবং দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদরিনোর গ্রেপ্তারের জন্য নতুন ১৫ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা ভেনেজুয়েলার আট কর্মকর্তার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের যেকোনো সম্পদ জব্দ করা হবে।
মাদুরো সরকার সব সময় এসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এগুলো অবৈধ পদক্ষেপ, যা ভেনেজুয়েলাকে পঙ্গু করার জন্য ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধে’র নামান্তর।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে নিকোলাস মাদুরো সরাসরি নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ইঙ্গিত না দিয়ে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী সরকার জানে না, কীভাবে আমাদের ওপর প্রতিশোধ নেবে।’
আমারবাঙলা/এমআরইউ