সংগৃহিত
রাজনীতি

মঙ্গলবার থেকে ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান ‘একদফা’ আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে এবার টানা ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ ডেকেছে বিএনপি।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

রিজভী বলেন, চলমান ‘একদফা’ আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে আগামী মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর ৬ টা থেকে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত টানা অবরোধ চলবে। বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো এ কর্মসূচি পালন করবে।

কর্মসূচি পালনকালে বরাবরের মতো এবারও গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন সিলিন্ডারবাহী পরিবহন অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সব কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হবে।

এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। দলের কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জানান, সাভার থেকে ফিরে একইদিন শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজার জিয়ারত করা হবে।

দিবসটি উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে আলোচনা সভা, কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সব কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

তিনি বলেন, সরকার ভেবেছিল হামলা মামলা ও গ্রেফতার জাতীয়তাবাদী শক্তিকে স্তব্ধ করে দেবে। কিন্তু না, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছে। সমস্ত ভয়ভীতি উপেক্ষা করে তারা সারা দেশে মানবাধিকার দিবসে মানববন্ধনে জড়ো হয়েছে।

আজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে বিএনপির মানববন্ধনে পুলিশ হবিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে অনেককে আহত করেছে। সারা দেশে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে।

রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারি লোক দেখানো প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়। তবে এবার প্রহসন ও জালিয়াতি করে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না সরকার। আজকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব ও দেশের জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে।

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, দেশের মানুষকে ভোট থেকে দূরে রেখে জালিয়াতির নির্বাচন করছে সরকার। এতো বড় নৈতিক অনাচার পৃথিবীর কোথাও কেউ করেছে বলে জানা নেই।

সমস্ত নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় সরকার। মাঝে মাঝে তারা উন্নয়নের মায়াজাল তৈরি করে। জনসমর্থন তারা জাদুঘরে পাঠিয়ে জনপ্রশাসন, পুলিশ ও সবকিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ফলে পৃথিবীর সব স্বৈরশাসকের সাথে এখন প্রধানমন্ত্রীর ভালো সম্পর্ক।

এবি/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ট্রয় নগরী ধ্বংসে ‘ইরিস’ নাকি ‘হেলেন’, কে দায়ী?

স্রষ্টা পৃথিবীর বংশগতি রক্ষার জন্য নারী ও পুরুষ প্...

জয়ে ফিরল আর্জেন্টিনা

শেষ মুহূর্তে লাউতারো মার্টিনেজের দুর্দান্ত এক গোলে...

জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে শিল্পকলায় ভাস্কর্য কর্মশালা: পরিচালনায় ভাস্কর পাপিয়া

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের তত্ত্...

ঝিনাইদহে সুদের টাকা না পেয়ে বাড়ি দখলের অভিযোগ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সুদের টাকা না পেয়ে এক দিনমজুরে...

এ আর রহমানের ২৯ বছরের সংসার ভাঙছে

দীর্ঘ ২৯ বছরের সংসার ভাঙছে খ্যাতিমান সঙ্গীতজ্ঞ, অস...

বিচারের পরই নির্বাচনে স্বাগত জানানো হবে আওয়ামী লীগকে

‘আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কর...

কাল ঢাকা আসছেন বাইডেন প্রশাসনের বিশেষ প্রতিনিধিদল

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের গণতন্ত্র, মানবাধি...

নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের নির্দেশ আইসিসির

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশ...

নতুন সিইসি নাসির উদ্দীনের নাম ছিল বিএনপির তালিকায়

অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন প্রধান নির্ব...

আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার

শুটিং সেটে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ তুলেছেন...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা