ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক অবরোধ করায় মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সেইসঙ্গে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপারও বন্ধ হয়ে যায়।
তবে সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেওয়ায় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বন্দরে গাড়ি প্রবেশ শুরু হয়। দুপুর ২টা থেকে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার শুরু হয়।
এদিকে সকাল থেকে ইমিগ্রশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আগত ভারতগামী পাসপোর্টধারী যাত্রীরাও পড়েছিলেন বিপাকে। ঘোজাডাঙ্গা অবরোধের খবর তাদের কাছে না থাকায় বাড়ি থেকে ভারতের উদ্দেশে বের হয়েছিলেন তারা।
ভারতে যাওয়ার জন্য আসা খোকন মৃধা বলেন, ঘোজাডাঙ্গা অবরোধের খবর আমার জানা ছিল না। তাই ভারতে যাওয়ার জন্য ভোমরায় এসেছি। ভোমরায় এসে দেখি ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম বন্ধ। ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ মোল্যা মো. নকীবুল্লাহ বলেন, পাসপোর্টধারী সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পযর্ন্ত বন্ধ ছিল। ২টার পর যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়।
ভোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার ঘোজাডাঙ্গা অবরোধের ডাক দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার বিরোধী দলীয় নেতা। এর অংশ হিসেবে ঘোজাডাঙ্গায় প্রধান সড়কে মঞ্চ তৈরি করে সমাবেশ করা হয়। এতে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
ভোমরা স্থলবন্দরের উপপরিচালক মো. রুহুল আমিন (ট্রাফিক) বলেন, ভোমরার বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করায় মঙ্গলবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
তবে অবরোধ তুলে নেওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকা শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১০৫টি পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক ভোমরা বন্দরে ঢুকেছে বলে জানান তিনি।
আমার বাঙলা/এনবি