নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা ভুয়া বলেছেন উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এটা কোনো ভোটই ছিল না।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্রমঞ্চ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, তড়িঘড়ি করে মন্ত্রিপরিষদ শপথ নিলো, এমপিরা শপথ নিলো। কারণ কখন কি ঘটে যায়, বলা যায় না। লড়াই যখন শুরু করেছি, লড়াই করবো। লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে নিজেদের পাওনা আদায় করে নেব। লড়াই করলেই এই সরকার আর টিকতে পারবে না।
সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ৭ তারিখে কেউ ভোট দিতে যায়নি। ২ শতাংশ ভোটও পড়ে নাই। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা বলেছেন কোনোভাবেই ৮ থেকে ১০ শতাংশ ভোটের বেশি পড়ে নাই। আওয়ামী লীগ ছাড়া ২৭টি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তারা সবাই বলেছে এখানে কোনো নির্বাচন হয় নাই। তারা প্রত্যেকেই এই ভোট বর্জন করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে তারা এক দলীয় শাসনের দিকে নিয়ে গেছে। এই নির্বাচনকে যদি আপনারা ক্ষমতায় থাকার লাইসেন্স মনে করেন, তাহলে ভুল করবেন। আলোচনা করে সংকট উত্তরণের একটা সুযোগ আছে আপনাদের। এখনো সময় আছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ৭ তারিখ দেশের মানুষ ভোট দিতে যায় নাই। আওয়ামী লীগের মহাজোট সঙ্গী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন বলেছে নির্বাচন কারচুপি হয়েছে। আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা আব্দুস সুবাহান গোলাপ বলেছেন প্রশাসনের সহায়তায় নির্বাচন কারচুপি করেছে। সরকারকে পতন ঘটানো না পর্যন্ত আমাদের লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
ভাষানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, আমরা গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি কারণ তারা ৭ তারিখের ভোট বর্জন করেছিল। সরকারকে যতদিন পর্যন্ত আমরা পদত্যাগ করাতে না পারবো ততদিন আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ।
এবি/এইচএন