নিজস্ব প্রতিবেদক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভিসানীতির অধীনে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিট দ্যা রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের ভারতে মিসিং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয় বলেও জানান।
ড. হাছান মাহমুদ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি দিয়েছিল। এই ভিসানীতির অধীনে সাবেক সেনাপ্রধানকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। আমাদের মিশনকে আগে বিষয়টা জানানো হয়েছিল। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দুর্নীতি দমন, সন্ত্রাস দমন প্রভৃতি বিষয়ে কাজ করছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ৬৫ বছরে এই অঞ্চলে ভূমির পরিমাণ কমেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হয়েও ১৪টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বিশ্বের সেরা ১০টি দেশের মধ্যে আমরা রয়েছি। অথচ আমাদের দেশের আয়তন পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে কম।
পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে আমাদের গ্রোথ রেট বেশি। এমনকি পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের থেকেও বেশি। করোনার ধাক্কা যাওয়ার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে। তবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে।
দেশ আরও এগিয়ে যেতে পারতো, যদি রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকতো। বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মিট দ্যা রিপোর্টার্সে মন্ত্রী গত জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, নির্বাচনের পর সবাই তাকিয়েছিল বিশ্ব সম্প্রদায় বর্তমান সরকারকে কীভাবে গ্রহণ করে। বিশ্ব সম্প্রদায় বর্তমান সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে। ৮০টি দেশের সরকারপ্রধান অভিনন্দন জানিয়েছেন। ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।
অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন ৪২ শতাংশ ভোট বেশি না। কিন্তু গত ৩ বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক দেশে ভোট হয়েছে, এর মধ্যে বেশিরভাগ দেশে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। কিন্তু ওসব দেশে ভোট বর্জনের ঘোষণা ছিল না, নির্বাচন প্রতিহত করার কর্মসূচিও ছিল না। আমাদের দেশে নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের আস্থার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি তখন তথ্য মন্ত্রণালয়ে। আমাদের মন্ত্রণালয়ে কিছু অব্যবহৃত অর্থ রয়ে গেছে। আমি অর্থমন্ত্রীর সাথে কথা বলে আমাদের মন্ত্রণালয়ের অব্যবহৃত অর্থ দিয়ে করোনাকালীন সহায়তার জন্য ফান্ড করেছিলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ কোটি টাকা সহায়তা দেন।
এবি/এইচএন