আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের ভারি বৃষ্টিপাতের জেরে বন্য়ায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন।
এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের পর বন্যার প্রভাবে তামিলনাড়ু রাজ্যের দক্ষিণের জেলাগুলোতে অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী। এই পরিস্থিতিতে সেখানে উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দিচ্ছে সেনাবাহিনী ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)।
রাজ্যের মুখ্য সচিব শিব দাস মিনা এএফপিকে জানান, বন্যায় কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১২ হাজার ৬০০ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।
তুতিকোরিন জেলার কালেক্টর জি লক্ষ্মীপতি জানিয়েছেন, শ্রীবৈকুন্তমের বড় একটি অংশ বন্যা পরিস্থিতির সাথে লড়াই করছে। দুর্গম জলাবদ্ধ এলাকায় উদ্ধারের অপেক্ষায় থাকা বাসিন্দাদের এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী ও এনডিআরএফ দলগুলো।
স্থল মাধ্যমে যাতায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ বিমান থেকে ফেলা অব্যাহত রয়েছে। বন্যায় থুথুকুড়ি জেলার শ্রীবৈকুন্তম শহর ও আশপাশের এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা আক্রান্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণ নিয়ে যেতে পারব বলে আশা করছি।
তুতিকোরিনের সংসদ সদস্য এমকে কানিমোঝি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় খাবার সরবরাহ মানুষের কাছে পৌঁছানো বা তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া সবকিছুই বেশ চ্যালেঞ্জিং। আমরা এমন সব এলাকায় বিমানযোগে খাবার সরবরাহ করেছি, যেখানে নৌকাও পৌঁছাতে পারে না।
তিনি বলেন, এমনকি এনডিআরএফ ও সেখানে পৌঁছাতে পারেনি। গতকাল দমকল বাহিনীর একটি গাড়ি পানিতে ভেসে গেছে। উজানে তামারাবারানি নদী উপচে যাওয়ায় বাঁধ খুলে সেখান থেকে ১.২ লাখ কিউসেক পানি ছাড়ার পর পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।
উদ্ধারকারী দলগুলোর প্রচেষ্টার পরেও দুর্গম হওয়ায় জলাবদ্ধ এলাকায় উদ্ধার অভিযান কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, ঘুর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডব থেকে এাখনো সামলে উঠতে পারেনি তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই ও এর আশপাশের এলাকাগুলো। সেখানে যে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা গত ৪৭ বছরেও হয়নি। ২ ধরনের দুর্যোগের আঘাতে ধ্বংসলীলা থেকে উঠে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জরুরি সহায়তা চেয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন।
তিনি বন্যায় তিরুনেলভেলি, থুথুকুড়ি, কন্যাকুমারী ও তেনকাসিতে ত্রাণ তৎপরতা ও অবকাঠামো সংস্কারের জন্য জাতীয় দুর্যোগ ও ত্রাণ তহবিল থেকে অবিলম্বে ২ হাজার কোটি রুপি চেয়েছেন।
এবি/এইচএন