আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের বিহার রাজ্যে একটি হাসপাতালে ২ ঘণ্টায় তাপজনিত কারণে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও বহু রোগীকে তাপজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজ্যটিতে বর্তমানে ব্যাপক তাপপ্রবাহ চলছে। এমনকি তাপপ্রবাহের কারণে সকল সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিহারের ঔরঙ্গাবাদের জেলা হাসপাতালে মাত্র দুই ঘণ্টায় তাপজনিত কারণে ১৬ জন মানুষ মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গত বুধবার সেখানকার তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৮.২ ডিগ্রিতে। সেদিন এই শহরটিই ছিল বিহারের সবচেয়ে উষ্ণতম স্থান, যা রাজ্যটির জন্যও একটি রেকর্ড।
এনডিটিভি বলছে, ভিডিও ফুটেজগুলোতে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে কাঁদতে দেখা গেছে। একজন ডাক্তার বলেছেন, অন্তত ৩৫ জন রোগীকে তাপজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে হাসপাতালে রোগীদের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ডাক্তার, ওষুধ ও বরফের প্যাক রয়েছে এবং আরও কুলারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
বিহার বর্তমানে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে রয়েছে এবং রাজ্য সরকার গত বুধবার রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি ও সরকারি স্কুল, কোচিং ইনস্টিটিউট এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলো ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ব্যাপক তাপপ্রবাহের কারণে কয়েক ডজন শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এনডিটিভি বলছে, গরমের কারণে রাজ্যের শেখপুরা জেলার একটি সরকারি স্কুলে অন্তত ১৬জন মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল এবং অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা না হওয়ায় তাদের দুই চাকার যান এবং ই-রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বেগুসরাই এবং জামুই থেকেও ছাত্রদের অজ্ঞান হওয়ার খবর এসেছে। এই ঘটনায় আরজেডি নেতা এবং সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব বিহার সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিহারে কোনও গণতন্ত্র বা সরকার নেই। শুধু আমলাতন্ত্র আছে। কেন মুখ্যমন্ত্রী এত দুর্বল? তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি। ডাক্তাররা বলছেন, এমন আবহাওয়ায় শিশুদের রক্ষা করতে হবে। এবং এখানে স্কুল খোলা রাখা হয়েছে।’
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) রাজ্যটিতে আগামী দুই দিনের জন্য তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে।
এবি/এইচএন