মাথা ভর্তি ঝাকড়া চুল। হয়তো এই কারণেই একটু আলাদাভাবেই পড়েন সবার নজরে। ২৭ বসন্তে পা রাখা পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চি উচ্চতার ছেলেটি ফুটবল মাঠে সামলান নিজ দলের মিডফিল্ড। ডিফেন্সিভ মিড ফিল্ডার হিসেবে মাঠ মাতান তিনি। খেলেন ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে। বলছি বাংলাদেশি বংশদ্ভূত ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরির কথা।
যতোই ঘড়ির কাটা ঘুরছে, ততোই ঘনিয়ে আসছে হামজা চৌধুরির বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামার সময়। আগামী ২৫ মার্চ লাল-সবুজের জার্সিতে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হবে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে খেলা এই ফুটবলারের।
হামজার বাবার নাম দেওয়ান গোলাম মোর্শেদ চৌধুরী। মা রাফিয়া চৌধুরী। তাদের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাটে। ছোটবেলায় এই দেশের আলো-বাতাস না পেলেও বেশ কয়েকবার বেড়াতে এসেছেন তিনি। ২০২২ সালের অক্টোবরে, লাল-সবুজের জার্সিতে খেলার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। এরপর কেটে গেছে তিনটি বছর। শেষ পর্যন্ত শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজ দেশের হয়ে অভিষেক হতে যাচ্ছে হামজা চৌধুরির।
তবে হামজার জন্ম ইংল্যান্ডের লাফবোরো শহরে। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি ঝোঁক ছিল তার। তাই তো ৫ বছর বয়সেই তাকে ভর্তি করা হয়েছিল লাফবোরো ফুটবল ক্লাবে। লেস্টারের মূল দলে যোগ দেয়ার আগে অধিনায়কত্ব করেছেন ক্লাবটির অনূর্ধ্ব-২৩ দলের। ৭টি ম্যাচও খেলেছেন ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের জার্সিতে।
যুবক বয়সেই ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি ক্লাবের অনসন্ধানী দলের নজরে পড়েছিলেন হামজা। সে তালিকায় ছিল লেস্টার সিটি। শেষ পর্যন্ত তাকে লেস্টার সিটির একাডেমিতে ভর্তি করিয়েছিলেন হামজার বাবা। বয়স ১৮ বছর হওয়ার পর হামজার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় লেস্টার। ২০০৫ থেকে টানা ১০ বছর হামজা খেলেন ক্লাবটির যুব দলে। এরপর মূল দলে খেলা শুরু করেন ২০১৫ সালে।
লেস্টারের হয়ে এখন পর্যন্ত দুটি শিরোপা জিতেছেন হামজা। ২০২১ সালে জিতেছেন ইংলিশ এফএ কাপ এবং ২০২২ সালে জিতেছেন ইংলিশ সুপার কাপ। বর্তমানে তিনি খেলছেন শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে।
আমারবাঙলা/জিজি