চার দিন পুরোপুরি উৎপাদন বন্ধ থাকার পর শুরু হয়েছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টা ২৯ মিনিট থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়।
১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্রের এই ইউনিট থেকে বর্তমানে ৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবুবকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এখন ১ নম্বর ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এটি চালু করা হয়েছে শনিবার বিকালে। বন্ধ হয়ে যাওয়া ৩ নম্বর ইউনিটটি মেরামত করতে বেশ কিছু যন্ত্রাংশ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এই ইউনিটিও দ্রুত চালু করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। আর ২ নম্বর ইউনিট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে চলমান ১২৫ মেগাওয়াটের ১ নম্বর ইউনিটের বয়লারে লিকেজ হওয়ার কারণে তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। বলা হয়, বয়লারের টিউব ফেটে যাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট করে মোট ২৫০ মেগাওয়াট এবং ৩ নম্বর ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন।
২ নম্বর ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে। ১ ও ৩ নম্বর ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছিল ২৩০ মেগাওয়াট। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩ নম্বর ইউনিট বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। শুধু চালু ছিল ১ নম্বর ইউনিটটি। সেই ইউনিটে বয়লারে লিকেজ হওয়ায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে সেটিও বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম।
আমারবাঙলা/এমআরইউ