নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কেন ম্যাচ হারলো বাংলাদেশ? এই প্রশ্ন কাউকে করা হলে তার উত্তর দেবার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। ক্রিকেট সম্পর্কে যাদের ন্যুনতম ধারণা আছে তারা সবাই বলতে পারবে ব্যাটিং ব্যর্থতায়। রাওয়ালপিন্ডির ব্যাটিং স্বর্গে ২৩৬ রানের পুঁজিকে সাদামাটা বলাটা ভুল হবে না। তাও আবার সেটা নিউজিল্যান্ডের মতো দলের সাথে করলে জয়ের আশা করাটা বাড়াবাড়ি বলতে হবে।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলছেন, মিডল ওভারে নিয়মিত উইকেট হারানোয় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো পুঁজি আসেনি, আর তাতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ব্যাটাররা এখনো বড় স্কোর করার সামর্থ্য অর্জন করেনি, হারের পর এমনটিও বলেছেন অধিনায়ক শান্ত।
তবে আসল প্রশ্ন কেন বারবার ব্যর্থ লাল সবুজের ব্যাটাররা? শান্ত, মুশফিক, হৃদয়রা কেন প্রায় প্রতি ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়েন? বিশেষ করে আইসিসির বৈশ্বিক আসরে।
বিষয়টি নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আইসিসির টুর্নামেন্টে কীভাবে ভালো করতে হবে এটা খেয়াল রাখতে হবে। আমার মনে হয়, দল হিসেবে প্রতিটি বিভাগেই ভালো করা জরুরি। দেখা যাচ্ছে, একদিন ওপরের দিকে ব্যাটিং ভালো হচ্ছে, একদিন মিডলে। আবার একদিন বোলিং, আবার দেখা গেল কোনদিন ফিল্ডিং ভালো হচ্ছে। এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা। দল হিসেবে কালেক্টিভ পারফরম্যান্স করতে পারলে এসব টুর্নামেন্ট কিংবা বড় দলের বিপক্ষে জেতা সম্ভব হবে।’
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লড়াই করে মিডল অর্ডার। নিউজল্যান্ডের বিপক্ষ এলো ভালো শুরু, পাওয়ার প্লে-তে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান। কিন্তু এদিন ব্যর্থ মিডল অর্ডার। অবাক করার মতো বিষয় পুরো ম্যাচে ১৭৮টি ডট বল খেলেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ওভারের হিসেব করলে ২৯ ওভার ৪ বল, অর্থাৎ মাত্র ২০ ওভার ২ বলে রান নিতে পেরেছে শান্তর দল। যার ফল ২৩৬ রানের মামুলি পুঁজি আর বড় হার।
অধিনায়ক ‘শান্ত এমন পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যায় বলেন, এই ম্যাচের ডটের কথা যদি বলেন, আমরা ৫ ওভার কিংবা ১০ ওভার পর পর নিয়মিত উইকেট হারাচ্ছিলাম। ওইসময় ব্যাটারদের জন্য স্ট্রাইক রোটেট করে খেলা বেশ কঠিন ছিল। দুই একটা বড় পার্টনারশিপ হলে হয়তো এমনটা হতো না। আমাদের অভ্যাস করতে হবে কীভাবে ৩০০ করা যায়।’
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি গত দুই ম্যাচে ফিল্ডিংটাও হয়েছে খুব বাজে। রানআউট আর ক্যাচ মিসের মহড়ায় প্রতিপক্ষ ব্যাটার সুযোগ পেয়েছে একাধিকবার। তবে মন্দের ভালো বোলিং। পাকিস্তানের ব্যাটিং স্বর্গেও ভালো বল করেছেন তাসকিন, মোস্তাফিজ, নাহিদ রানারা।
আমারবাঙলা/জিজি