আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টালমাটাল অর্থনীতির জেরে সাধারণ জনগণের ভোগান্তির প্রতি সংহতি জানিয়ে নিজের বেতন নেবেন না বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্টের সচিবালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মাননীয় প্রেসিডেন্ট মনে করেন, জাতীয় রাজকোষের ওপর চাপবৃদ্ধি করা উচিত নয়। এ কারণে তিনি বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
এদিকে প্রেসিডেন্টের সচিবালয় থেকে বিবৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একই বার্তা দেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভিও। এক্স পোস্টে নাকভি বলেন, ‘আমি বিনা বেতনে দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমি সম্ভাব্য সব উপায়ে জাতির সেবা করতে চাই।’
গত ১০ মার্চ পাকিস্তানের ১৪ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়েছে। নির্বাচনে দুইজন প্রার্থী ছিলেন— পিপিপি’র কো চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি এবং পশতুনখোয়া মিলি আওয়ামী পার্টির (পিকেএমএপি) নেতা মেহমুদ খান আচাকজাই। ভোট দিয়েছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক আইন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।
ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, জারদারি পেয়েছেন ৪১১টি ভোট এবং আচাকজাই পেয়েছেন ১৮১টি ভোট। বুধবার প্রেসিডেন্টের শপথ পাঠ করেছেন তিনি।
নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হলেন জারদারি। এর আগে ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
পাকিস্তানের ইতিহাসে জারদারিই প্রথম বেসামরিক ব্যক্তি, যিনি দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। এর আগে কোনো বেসামরিক একবারের বেশি দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, বিদেশি মুদ্রার মজুত তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় ২০২২ সাল থেকে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে পাকিস্তানে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, চীন এবং মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলোর ঋণ ও সহায়তার অর্থে বর্তমানে চলছে দেশটির অর্থনীতি। যদি এই ঋণ-সহায়তা বন্ধ হয়, তাহলে দেশটির অর্থনীতি কার্যত ধসে পড়বে। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড
এবি/এইচএন