ক্রীড়া ডেস্ক: সংশ্লিষ্ট একজন এটাকে হান্ট বলতে চাইলেন না। খুব মনে করে বললেন, ‘চিরুনি অভিযান’ বলতে পারেন। কি সেই অভিযান বিসিবি পরিচালনা করলো? লেগ স্পিনার নেই… লেগ স্পিনার নেই; বিসিবির সীমানায় গেলে এমন হা-হুতাশের কথাই শোনা যায়। যারা আছেন তারাও ততটা মানসম্মত নন। আবার খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ার অভিযোগ তো আছেই।
সব মিলিয়ে দেশের ক্রিকেটে লেগ স্পিনারের বিশাল এক ঘাটতি রয়েছে। তারা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝাতে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ বলেছেন, ‘এখন ওয়ানডে ক্রিকেটে লেগ স্পিনার খুবই প্রয়োজনীয়। আপনাকে মধ্য ওভারগুলোতে রান আটকে উইকেট নিতে হবে। এজন্য আপনার বৈচিত্র্যপূর্ণ স্পিনার প্রয়োজন।’
এই উপলব্ধি অনেক আগে হলেও তোড়জোর ছিল কম। তবে পিছিয়ে পড়া মানেই হারিয়ে যাওয়া নয়। এজন্য দেরিতে হলেও লেগ স্পিনার তুলে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। যে উদ্যোগ সফলতার মুখও দেখেছে। সারাদেশে ‘চিরুনি অভিযান’ চালিয়ে বিসিবি খুঁজে পেয়েছে ৮০ লেগ স্পিনার। মুশতাক আহমেদের আগেই স্পিন কোচ হিসেবে বিসিবিতে নিয়োগ পেয়েছেন পাকিস্তানের শাহিদ মাহমুদ।
গত বছর অক্টোবর মাসে গেম ডেভেলপমেন্টের লেগ স্পিন কোচ হিসেবে নিয়োগ করা হয় তাকে। মূলত তার কাজই ছিল সারাদেশ থেকে প্রতিভাবান লেগ স্পিনার খুঁজে বের করা।
দেশের ৬৪ জেলা থেকে হান্ট করেছে ৮০ জন লেগস্পিনার। তিনিই জেলা ও বিভাগে ঘুরে ঘুরে খুদে লেগস্পিনারদের বাছাই করেছেন। গত ছয় মাস দেশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে একশর মতো লেগস্পিনারের একটা তালিকা করেছিলেন শাহিদ মাহমুদ। সেখান থেকে ট্রায়ালে ডাকা হচ্ছে ৮০ জনকে। ৩ ও ৪ মে মিরপুরের একাডেমি মাঠে ট্রায়াল হবে বলে জানান বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার আবু ইমাম মোহাম্মদ কাওছার।
তিনি বলেছেন, ‘ট্রায়াল থেকে ২০ জন বোলারকে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রাখা হবে। তিন সপ্তাহের স্কিল ক্যাম্পের পর ১২ থেকে ১৫ জন নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা নেওয়া হবে।’ গেম ডেভেলাপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘লেগ স্পিনার নিয়ে আমাদের ভাবনা-চিন্তা অবশ্যই আছে। গেম ডেভেলপমেন্ট থেকে শাহিদ মাহমুদ লেগ স্পিনার কোচ হিসেবে আছেন। আমরা তথ্যটা প্রকাশ করিনি। প্রায় ৮ মাস ধরে আমাদের সঙ্গে আছেন তিনি। ৮০ জনকে আমরা নির্বাচন করেছি। শাহিদ কিন্তু বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে গিয়েছে। আমরা দুই স্তরে ২০ জনকে বাছাই করবো।’
লেগ স্পিনারদের সাফল্যের জন্য ধৈর্য্য রাখার কথাও বললেন খালেদ মাহমুদ,‘এখনও ঢাকা প্রিমিয়ার লেগে খেলার মতো স্ট্যান্ডার্ডে অনেকে যেতে পারেনি। আরেকটা বড় কারণ হলো ক্লাব ক্রিকেটে কেউ লেগ স্পিনার খেলাতে চায় না। লেগ স্পিনার তো একটা বাজে বল করলে ছক্কা হজম করে এটা ম্যানেজমেন্ট মানতে পারে না। টিম অফিসিয়ালদের বুঝতে হবে একজন লেগ স্পিনার একটা ম্যাচ উইনার।’
এবি/এইচএন