সংগৃহীত
পরিবেশ

বিশ্ব মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে মালদ্বীপ! 

আমার বাঙলা ডেস্ক

পর্যটকদের জন্য স্বপ্নের এক দেশ মালদ্বীপ! দেশটির সমুদ্র সৈকতে স্বচ্ছ নীল জলের সৌন্দর্য যে কারোর মন কাড়ে। মালদ্বীপের নারিকেল গাছের সৌন্দর্য, উথাল-পাতাল বাতাস, আর সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য সারা পৃথিবীর ভ্রমণপিপাসুদের মন জয় করে নেয়। সে দেশটিই কিনা হারিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব মানচিত্র থেকে। প্রতিনিয়ত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার তলানিতে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দিন গুনছে পুরো দ্বীপপুঞ্জ।

পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি কার্বন নিঃসরণের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকে, তবে ২১০০ সালের শেষের দিকে মালদ্বীপ সমুদ্রের অতল গহ্বরে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মালদ্বীপের গড় উচ্চতা মাত্র দেড় মিটার; যা পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু বসবাসযোগ্য এলাকা। এমনকি ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে, যদি সমুদ্রের স্তর আর এক মিটার বাড়ে, তবে মালদ্বীপের অসংখ্য দ্বীপপুঞ্জ পানির নিচে তলিয়ে যাবে। কেমন হবে তখন? যেখানে লাখ লাখ মানুষ জীবনের ছন্দে, সংস্কৃতির আদলে এই স্বপ্নের দেশে বেড়ে উঠেছে, সেই স্থান একসময় হয়তো শুধুই জলরাশির বুকে মিলিয়ে যাবে।

কিন্তু, মালদ্বীপের মানুষরা আজও বেঁচে আছেন নিজেদের কিছু ঐতিহ্যের গল্পে। প্রচলিত আছে মালদ্বীপের মানুষ মনে করেন, তাদের দ্বীপগুলো প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের সঙ্গে এক অতিপ্রাকৃত রহস্যও লুকিয়ে রেখেছে। স্থানীয়দের কাছে প্রচলিত গল্প অনুসারে, এক ভিনদেশি জাদুকর দ্বীপের এক মেয়ে রাজকুমারীকে মুগ্ধ করে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজকুমারী রাজি না হওয়ায়, জাদুকর ভয়ংকর অভিশাপ দেয় এই দ্বীপকে, যাতে এখানকার লোকজন সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে তলিয়ে যায়। এই মিথ আজও অনেকের মনে গেঁথে আছে।

আবার আরেকটি গল্পে শোনা যায়, মালদ্বীপে প্রাচীনকালে সমুদ্রের নিচে এক সমুদ্র দেবতার বাস ছিল, যিনি প্রতি বছর মানুষের কাছ থেকে উৎসর্গ দাবি করতেন। স্থানীয় জনগণ তাকে সন্তুষ্ট রাখতে প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট দিনের রাতে পানিতে আলোকিত নৌকা পাঠাত। বর্তমানে এটি প্রচলিত না থাকলেও এখনো মালদ্বীপে মালিকি রাত্রি নামের একটি উৎসব পালিত হয়, যেখানে স্থানীয়রা সমুদ্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশেষ নৌকা সাজিয়ে পানিতে ভাসায়।

মালদ্বীপের অন্যতম আকর্ষণ প্রবালপ্রাচীরের মধ্যেও রয়েছে রহস্যময় জীবনের গল্প। তারা বিশ্বাস করেন, এই প্রবালপ্রাচীর হলো তাদের প্রাচীন পূর্বপুরুষদের আত্মার প্রতীক, যারা আজও তাদের রক্ষা করছে। এই কারণে, প্রবালপ্রাচীরের ক্ষয়ক্ষতি হওয়াকে তারা মনে করেন নিজেদের ভবিষ্যতের ওপর বিপদের ছায়া হিসেবে।

তবে এতকিছুর পরেও মালদ্বীপ হাত গুটিয়ে বসে নেই। দেশটির সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করছে। এরজন্য কৃত্রিম দ্বীপ গড়ে তোলা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রবালপ্রাচীরগুলোকে পুনঃসংস্কার করে তারা সাগরের ঢেউয়ের ধাক্কা থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে।

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ডিএনসিসি প্রশাসকের গণশুনানিতে দু’পক্ষের মারামারি

হাতাহাতি থেকে মারামারিতে রূপ নিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাস...

মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার আহ্বানে যা বললো ভারত 

ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ...

ড. ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন

বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৫ সালের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির ত...

নিজের প্রতি সৎ থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চাই: মেসি

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই প্রশ্ন ‘লিওনেল মেসি কি ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলবে...

অভিনয়কে বিদায় জানালেন সোহেল রানা, করবেন না সক্রিয় রাজনীতি

চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানা। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে তিন শ...

চট্টগ্রামে রিকশা নালায়, ৭ মাসের শিশু তলিয়ে গেল

চট্টগ্রামের বৃষ্টির মধ্যে সড়কের পাশে নালায় রিকশা প...

কঙ্গোয় নৌকায় আগুন, ১৪৩ মরদেহ উদ্ধার

আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে একটি...

সিরাজগঞ্জে মাদক কারবারিদের মারধরে যুবদল কর্মী নিহত

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মাদক কারবারিদের হাতে মারধরে...

মেয়ের প্রেমের কথা শুনলে অজয় বন্দুক তুলবে: কাজল

বলিউডের তারকা দম্পতি অজয় দেবগন ও কাজল। তাদের একমাত...

রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক ইউক্রেনের হামলায় নিহত

সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে এবং পরিবারের অভাব ঘোচাতে রাশিয়...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা