নিউজ ডেস্ক: পিঠা উৎসব হয়ে উঠে আড্ডার টেবিল। মিডিয়ার একাল সেকাল নিয়ে মেতে ওঠেন সবাই। উপস্থিত সকলের বক্তব্য হয়ে উঠে যেন প্রামাণ্যচিত্র। চোখের সামনে ভেসে ওঠে স্মৃতিকাতরতার চলমান সব ছবি। হ্যাঁ, পাঠক সমমনা বিনোদন সাংবাদিকবৃন্দের আয়োজনে হাঁস-রুটি-পিঠা উৎসব ছাপিয়ে স্মৃতিপটের ঝাঁপি যেন উপচে পড়ে অতিথিদের স্মৃতিচারণায়।সম্প্রতি রাজধানীর নিসচা সম্মেলন কক্ষে বসেছিলো সমমনা বিনোদন সাংবাদিবৃবন্দের এমন আয়োজন। এতে সাংবাদিক, অভিনেতা, সংগীতজ্ঞ, হল মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎসব উদ্বোধন করেন বরেণ্য অভিনেতা ও নিসচার চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বরেণ্য সাংবাদিক ইমরুল শাহেদ, সাবেক সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী, প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, উপদেষ্টা রোকনুজ্জামান ইউনুস রুবেল, ভার্সাটাইল অভিনেতা আশীষ খন্দকার, সিনিয়র সাংবাদিক লিটন এরশাদ এবং কামরুল হাসান দর্পন মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। নব্বই দশকের খ্যাতিমান সাংবাদিক দুলাল খানের সঞ্চালনায় আয়োজনটি হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত।
আয়োজনে সূচনা বক্তব্য রাখেন উৎসব পরিচালক আহমেদ তেপান্তর। তিনি চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে ভবিষ্যতেও বিনোদন সাংবাদিকদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরো সুদৃঢ় করতে এমন আয়োজনে সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানান।ইমরুল শাহেদ, লিটন এরশাদ ও কামরুল হাসান দর্পন তাদের আলোচনায় সময়ের বিবেচনায় বিনোদন সাংবাদিকদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে এগিয়ে নিতে উৎসব পরিচালক আহমেদ তেপান্তররকে ধন্যবাদ জানান।প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চলচ্চিত্রের উন্নতির স্বার্থে বিনোদন সাংবাদিকবৃন্দের আয়েজনকে ইতিবাচক মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ইলিয়াস কাঞ্চনকে ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে হল বাঁচাতে তার ভূমিকার প্রশংসা করে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।ফরমান আলী তার বক্তব্যে বিনোদন সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার উপর জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশীয় সিনেমার প্রসারে বিনোদন সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠু সাংবাদিকতা প্রযোজক ও দেশের কৃষ্টিকে রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা নিতে পারে। এজন্য তাদের বন্ডিং মজবুত হওয়া প্রয়োজন।অনুষ্ঠানের আগত অতিথিদের মধ্যে বাচসাসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল, সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম, নিথর মাহবুব বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালক দুলাল খান এ সময় অধুনালুপ্ত চিত্রালীর সিনিয়র সাংবাদিক সঞ্জীব কুমার দাসকে সবার মাঝে পরিচয় করিয়ে দেন। এ পর্যায়ে তিনি সত্তরের দশকের বাংলা সিনেমার শক্তিমান কৌতুক অভিনেতা খান জয়নুলের ছোটো ছেলে রাশেদ খান টোটোকে সবার মাঝে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় সিনিয়রদের মধ্যে ‘খান জয়নুলের’ নাম ধরে স্মৃতিকাতর হতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানে টোটো বিনোদন সাংবাদিকদের কাছে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানের শেষদিকে উপস্থিত হন কিংবদন্তী সংগীতজ্ঞ শেখ সাদী খান। উপস্থিত সকলেই তাকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান।
অনুষ্ঠানের শেষে উদ্বোধন ইলিয়াস কাঞ্চন তার বক্তব্যে সঞ্চালক সাংবাদিক দুলাল খানের বুদ্ধিদীপ্ত সঞ্চালনার প্রশংসা করেন। কাঞ্চন বলেন, এটা সমমনা বিনোদন সাংবাদিকদের দ্বিতীয়বারের আয়োজন। এমন আয়োজনে থাকতে পেরে গর্বিত। কারণ এখানে আজ অনেক অদেখা মানুষদের সমাগম বলে দিচ্ছে বাংলা সিনেমার গর্বিতদের তারা স্মরণ করতে চায়। এ সময় তিনি বিনোদন সাংবাদিকদের কাছে আরো বস্তনিষ্ঠ সাংবাদিকতাও প্রত্যাশা করেন। হাঁস-রুটি-পিঠার আপ্যায়নে শেষ হয় সমমনা বিনোদন সাংবাদিকদের দ্বিতীয়বারের আয়োজন। অন্যান্যের মধ্যে এদিন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কাহিনীকার সুদীপ্ত সাঈদ খান, সিনিয়র সাংবাদিক হামিদ মোহাম্মদ জসিম, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর বিপ্লব, রনজু সরকার, নিশা মাহমুদা, আসিফ আলম, আহমেদ জামান শিমুল, লিটন মাহমুদ, সেলিম শাকিবসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।