নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি ঐতিহ্যগতভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কানাডার আদালত তাদের ৬ বার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জামায়াত আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে। বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী নয় বলেই তারা রাজনৈতিক পরিবেশকে বিনষ্ট করছে।
তিনি বলেন, ২০১৩- ১৪ সালে তারা শত শত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। আসন্ন নির্বাচন ভন্ডুল করতে আবারও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। তারা রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কারও সাথে সংঘাতে যাবো না। তবে আমাদের ওপর হামলে পড়লে, পরিস্থিতি যা বলবে তাই করবো।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের হাতে নিরাপদ নয় জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখনো বলবো, এ সহিংসতা পরিহার করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ফিরে আসুন। ক্ষমতা পরিবর্তনে নির্বাচনে বিকল্প নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বলে তারা আসলে তাদের রাজনীতির যে সন্ত্রাসী ধারা, সেই ধারা বাস্তবায়নে গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
তাদের ভয়ংকর রাজনীতির ধারা পুরনো চেহারায় ফিরে আসার জন্য তারা সময় নিচ্ছিল। সময় মতোই তারা তাদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথ বেছে নিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তারা চ্যালেঞ্জ করেছে। প্রধান বিচারপতির বাস ভবনে হামলা মানে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে তারা অপমান করেছে। গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী নয় বিএনপি। তারা সুষ্ঠু-স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশকে বিনষ্ট করছে।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, গতকাল নৃশংস হামলা চালিয়ে ১ জন পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে আগুন এগুলোই ছিল তারেক রহমানের টেকব্যাক।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুস রাজ্জাক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শাহজাহান খান, লে. কর্নেল (অব) মো. ফারুক খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, দেলোয়ার হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন, সানজিদা খানম প্রমুখ।
এবি/এইচএন