প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলো সাময়িকভাবে বিজয়ী হতে পারে। কিন্তু দ্রুতই তারা এটি বুঝতে পারবে- তাদের বক্তব্যের কোনো সারবত্তা নেই। সামাজিকমাধ্যমে টাকা ঢেলে বক্তব্য ছড়িয়ে বা নিউইয়র্কের গণপরিবহন ব্যবস্থা ও ভ্যানে ব্যানার টাঙিয়ে তাদের কোনো কাজে আসবে না।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে প্রেস সচিব এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এসব কথা বলেছেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটছে, সে বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প কী ভাবছেন, তা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি শিগগির মুক্ত বিশ্বের নেতা হতে পারেন। তবে আমাদের কাজ হলো সবচেয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং যথাসম্ভব খোলামেলাভাবে সত্যটা তুলে ধরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এক্সে এক পোস্টে বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাই। তারা হামলা ও গণলুটের শিকার হচ্ছেন। সেখানে এখনো অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি শফিকুল আলম। তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা জানি, বিপ্লব (জুলাই গণ-অভ্যুত্থান) নিয়ে বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে সহিংসতা চালানোর বিষয়ে মিথ্যা বয়ান তৈরির ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠীর ভাষ্যগুলো একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। আমরা এটি অস্বীকার করছি না যে কিছু ধর্মীয় সহিংসতা ঘটেনি। কিন্তু সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং সেগুলো নিয়ে ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জন করা হয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কীভাবে বিভিন্ন সংকট সামাল দিচ্ছেন- তা নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন তার প্রেস সচিব শফিকুল।
ড. ইউনূস কখনো হতবিহ্বল হয়ে পড়েন না উল্লেখ করে তিনি লিখেন, আগস্টের শুরুর দিনগুলোতে যখন থানাগুলোতে কোনো পুলিশ ছিল না এবং তরুণ-তরুণীরা পুলিশ কর্মকর্তাদের ভূমিকা পালন করছিলেন, তখন আমি খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। পুলিশ না থাকা মানে সরকারের উপস্থিতি দৃশ্যমান হয় না। প্রতিটি দিন একটি মাসের মতো মনে হতো। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূস সব সময় শান্ত ছিলেন। যত দ্রুত সম্ভব পুলিশ যেন দায়িত্বে ফেরে, সেই ব্যবস্থা করতে তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে বলেন। তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে বাংলাদেশের সমাজের মানুষের নাগরিক বোধ, শিষ্টাচার, মানবিকতা ও সবাই মিলে একসঙ্গে চলার মানসিকতাই বাকি সবকিছু ঠিক করে দেবে।
আমারবাঙলা/আরইউ